সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এবার হিংসাদীর্ণ মণিপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি জানালেন সে রাজ্যে বিজেপির জোটসঙ্গী এনপিপি দলের নেতা এম রামেশ্বর সিং।
গত চার মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতি দাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। অশান্তি থামাতে বিরাট কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সেনা মোতায়েন করা হয় উত্তর- পূর্বের এই রাজ্যে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এহেন পরিস্থিতিতে, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি জানাল বিজেপির জোটসঙ্গী এনপিপি।
এনপিপি নেতা এম রামেশ্বর সিং বলেন,” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে কিছু কুকি সন্ত্রাসবাদী ও অনুপ্রবেশকারীরা সীমানা পেরিয়ে প্রবেশ করছে। আমি সব সময়ই বলেছি মণিপুরের হিংসায় বহিরাগতদের হাত রয়েছে। এতে শুধু রাজ্যের সুরক্ষাই নয়, জাতীয় সুরক্ষাও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু মণিপুর নয় গোটা দেশের নিরাপত্তা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। তাই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কোনও পদক্ষেপ করা উচিৎ যাতে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি, এমন কিছু সংস্থা রয়েছে যারা কুকি জঙ্গিরা সমস্ত অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পে রয়েছে বলে ভুল ধারণা তৈরি করছে। কিন্তু এটা মিথ্যা। ওরা যদি ক্যাম্পে থাকে তাহলে গুলি কারা চালাচ্ছে?”
[আরও পড়ুন: খর্ব কেজরির ক্ষমতা! আইনে পরিণত হল বিতর্কিত আমলা বিল]
প্রসঙ্গত, গত মাসেই জানা গিয়েছিল বৈধ নথি ছাড়াই মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে ঢুকেছিল ৭১৮ জন। ওই অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে চান্দেল জেলার ডেপুটি কমিশনারের কাছে রিপোর্ট দিয়েছিল অসম রাইফেলস। তারপরই এই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ মণিপুরে ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ শুরু করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল এই মিছিল। এতেই সংঘর্ষে জড়ায় কুকি ও মেতেইরা। ক্রমেই যা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত দেড়শোর উপর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু। ঘর ছাড়া লক্ষাধিক।