সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করে ৪০ লক্ষ মানুষকে রাতারাতি উদ্বাস্তু করে তোলার ঘোরতর বিরোধী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোড়া থেকেই এ নিয়ে সরব তিনি। তাঁর অভিযোগ ধর্ম ও ভাষার ভিত্তিতে এই বিভাজন প্রক্রিযা গৃহযুদ্ধ বাধাতে পারে। অকারণ রক্তপাত ডেকে আনবে। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার সরব হলেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
[ শুধু সংখ্যালঘু নয়, কতটা ক্ষতিগ্রস্ত অসমের হিন্দু বাঙালিরা? ]
মমতার বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগে রূপা বলেন, পশ্চিমবঙ্গেও অবৈধ অনুপ্রেবেশ ঘটনা নতুন নয়। এরকম বহু অনুপ্রবেশকারী আছেন। মুখ্যমন্ত্রী কি সে বিষয়ে অবহিত নন? মমতার গৃহযুদ্ধ মন্তব্য প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানান, বাংলায় এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কি গৃহযুদ্ধের থেকে কম কিছু? মমতা কি জানেন না যে, প্রতিদিনই বিজেপির কোনও না কোনও কর্মী বাংলায় খুন হচ্ছেন!
এনআরসি-তে ঘর হারানোর আতঙ্ক যাঁদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের হয়ে লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মন্তব্য, পালটা মন্তব্যেই নয়। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, যাঁদের নাম নেই এখনই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কোনওভাবেই সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করা হবে না। মমতার সাফ কথা, আজ যদি বলা হয় বাংলায় বিহারিরা থাকবেন না কিংবা দক্ষিণ ভারতে উত্তর ভারতের কেউ থাকবেন না, তাহলে দেশের আকার ও প্রকৃতিই নষ্ট হয়। তা কখনওই কাম্য নয়।
তবে এই দাবিতে তিনি যে গৃহযুদ্ধের কথা বলেছেন, তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে নাহারকাটিয়া থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। অসম কংগ্রেসের প্রধান রিপুন বোরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার কখনওই গৃহযুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার মতো মন্তব্য করা উচিত নয়। এহেন মন্তব্যের নিন্দা করে তিনি বলেন, অসমে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। অসমে পরিস্থিতি শান্তই আছে।
The post ‘বাংলায় কি গৃহযুদ্ধ হচ্ছে না?’, মমতাকে পালটা প্রশ্ন রূপার appeared first on Sangbad Pratidin.