দীপঙ্কর মণ্ডল: উৎসবের মরশুমে রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন আবহে হাসপাতালের বেড বা শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নির্দেশ কার্যকর করল রাজ্য প্রশাসন। কোভিড চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে কয়েকশো শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্রমশই রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা (Coronavirus)। উৎসবের পর সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স এবং হাসপাতালের বেডের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ মেনেই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নতুন ১৬৩৯টি Covid বেডের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ফলে বিনা খরচে সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা করানোর সুযোগ আরও বাড়ছে।
[আরও পড়ুন : হেঁটে নয়, নেটেই দেখুন, অনলাইনে দিনভর পুজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখাবে এই বারোয়ারি]
কলকাতার পাশাপাশি জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিতেও শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। শুধু করোনা চিকিৎসা নয়, সংকটাপন্ন রোগীদের ক্রিটিকাল কেয়ারের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৫৩৫ টি অতিরিক্ত আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যে আরও ২১৭৪টি শয্যা বাড়ানো হল। সেই তালিকা বলছে কলকাতায় মেডিক্যাল কলেজে ১০০টি শয্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। এম আর বাঙুরে ৭০টি, রাজারহাট ক্যানসার হাসপাতালে ৫০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি এই মরশুমে বেসরকারি হাসপাতালেরও বেড সংখ্যা বাড়ানো হবে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানো কয়েক শো অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে রাজ্যবাসী সঠিক চিকিৎসা পায়।
[আরও পড়ুন : মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’, বাড়িতে বসে মোবাইল অ্যাপেই প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা প্রশাসনের]
প্রসঙ্গত, উৎসবের মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। প্রতিদিন নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে দৈনিক সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যুতে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা। আবার পুজোর (Durga Puja 2020) সময়ে অসতর্ক হলেই সংক্রমণের গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। তার ফলে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ আরও চওড়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার নবান্নে একটি জরুরি ভারচুয়াল বৈঠক ডাকা হয়। ভারচুয়াল ওই বৈঠকে পুজোর আগে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। সেখানে হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো বিষয় নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নির্দেশ কার্যকর হল।