সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় মুখপাত্র নুপূর শর্মাকে (Nupur Sharma) বন্দুক রাখার অনুমতি দেওয়া হল। হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে একাদজিক ইসলামিক সংগঠনের থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন তিনি। নুপূরের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁকে অজ্ঞাত জায়গায় রাখা হয়েছে। সেখান থেকেই আত্মরক্ষার জন্য বন্দুকের লাইসেন্সের আবেদন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে নুপূরকে বন্দুক রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিজের সুরক্ষার জন্য একটি হ্যান্ড গান রাখার আবেদন করেছিলেন নুপূর শর্মা। তাঁর আবেদন যাচাই করে কিছুদিন আগেই একটি বন্দুক রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই তাঁকে অজ্ঞাত একটি জায়গায় রাখা হয়েছে, কারণ প্রাণনাশের একাধিক হুমকি পেয়েছেন নুপূর শর্মা। তার মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দাও। প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্রকে হত্যা করতে আত্মঘাতী হামলা চালাতেও প্রস্তুত, এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছিল জঙ্গি সংগঠনের তরফে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর]
একটি অনুষ্ঠানে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৎকালীন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা। তারপরেই দেশ জুড়ে অশান্তি শুরু হয়। এই মন্তব্যের জেরে একাধিক জায়গায় দাঙ্গা বেধে যায়। রাজধানী দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ, বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্যে নূপুরের মন্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারীরা। বিজেপি নুপূরকে এবং তাঁকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা আরেক বিজেপি নেতা নবীন জিন্দালকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিদেশেও এই মন্তব্যের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। একাধিক ইসলামিক দেশে তলব করা হয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের। নিন্দার মুখেও পড়তে হয় ভারতকে। লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বিজেপি নেত্রীকে। তাঁর মুন্ডচ্ছেদের দাবিতে ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় নূপুরকে। নিরাপত্তার খাতিরে অজ্ঞাত জায়গায় রাখা হয়। এখনও অজানা ঠিকানাতেই আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র।