অর্ণব আইচ: সপ্তাহখানেক আগে আত্মহত্যা করেছিলেন দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক (Regent Park) এলাকার যুবতী। পেশায় নার্স ওই যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, যাঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তরুণীর, সেই যুবক অন্য এক মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন। সেই অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করেছিলেন তাঁদের মেয়ে। এবার প্রায় এক সপ্তাহ পর মেয়ের ওই ‘প্রেমিকে’র বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় (Suicide) প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করল তরুণী নার্সের পরিবার। ওই অভিযোগের ভিত্তিত পরম বিশ্বাস নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই তরুণীর নাম রিঙ্কি কুণ্ডু। তিনি রিজেন্ট পার্ক এলাকার আনন্দপল্লির বাসিন্দা। একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের এক স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে। এরপর দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। যুবক আনন্দপল্লিতে তরুণীর বাড়িতেও এসেছিলেন। তরুণীর পরিবারের সদস্যরা যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হন। এই বছরই দু’জনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
[আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে বিরিয়ানি লুট! দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে হতবাক দমদমবাসী]
এরপর একটি পরীক্ষা দিতে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা ছিল তরুণীর। কিন্তু দিন কয়েক আগেই ছন্দপতন হয়। পুলিশের সূত্র জানা গিয়েছে, ওই তরুণী বাড়িতে ফিরে এসে জানান, তাঁর ‘বন্ধু’কে একটি মেলায় অন্য এক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে যুবককে প্রশ্ন করলেও সদুত্তর পাননি তরুণী। দু’জনের মধ্যে গোলমাল হয়। তরুণীর বোন পুলিশকে জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগের দিন তাঁর দিদি মানসিক অবসাদে ছিলেন। বোনকে জানান, যুবককে তিনি দশবারের বেশি সময় ধরে ফোন করেন। কিন্তু ওই ‘বন্ধু’ ফোন ধরেননি।
[আরও পড়ুন: বীরভূমের জঙ্গল থেকে উদ্ধার মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ, ধর্ষণ করে খুন, প্রাথমিক অনুমান পুলিশের]
এই ঘটনার পরের দিন বাড়ির সিঁড়ির কাছ থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Deadbody)পুলিশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা পুলিশকে জানান, তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ ওই যুবকের সন্ধান চালাচ্ছে। পুলিশের দাবি, তরুণীর পরিবার যুবকের বাড়ির ঠিকানা জানে না। যদিও কল্যাণী ও কৃষ্ণনগরের মধ্যেই যাতায়াত রয়েছে যুবকের। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।