শুভঙ্কর বসু: তুরস্কে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং হয়েছিল। কিন্তু ভারতে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি। সেই কারণেই অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) থেকে আলাদা হতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিখিল জৈন (Nikhil Jain)। সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু মঙ্গলবার বেঞ্চই গঠন হল না। উপস্থিত ছিলেন না বিচারকও। যার জেরে পিছিয়ে গেল নুসরত-নিখিলের মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানির কবে, তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায় নি।
গত বছর থেকেই নুসরত-নিখিলের (Nusrat-Nikhil) কাজিয়া অব্যাহত। এর মধ্যেই আবার নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। তারপরই নিখিল জানিয়েছিলেন, নুসরতের সন্তানের বাবা তিনি নন। অনেকদিন ধরেই অভিনেত্রীর সঙ্গে তিনি থাকেন না। যেহেতু তাঁদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি, সেই কারণে অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে আলাদা হতে চেয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা করেছেন বলেও জানান নিখিল। এই নিয়ম অনুযায়ী, নুসরতকে শুধু আদালতে গিয়ে জানাতে হবে তিনি আর নিখিল জৈনের সঙ্গে থাকতে চান না।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ কুন্দ্রাই পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে এনেছিল’, বিস্ফোরক পুনম পাণ্ডে ও শার্লিন চোপড়া]
তবে নিখিলের অ্যানালমেন্টের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না নুসরত জাহান। বিবৃতি দিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদ দাবি করেছিলেন, ভারতীয় আইন অনুযায়ী তাঁর ও নিখিলের বিয়েই হয়নি। তাঁরা শুধুমাত্র লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সুতরাং বিচ্ছেদের প্রশ্নই আসে না। নুসরতের সেই বিবৃতি নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। তাহলে শাখা-সিঁদুর কেন পরতেন অভিনেত্রী? এমন প্রশ্নও উঠেছিল। অবশ্য সেসব এখন অতীত। এখন সন্তানের জন্ম দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন নুসরত। তাঁর সঙ্গে অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন অব্যাহত।
এমন পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে নুসরত-নিখিলের অ্যানালমেন্ট মামলার শুনানি। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নিখিল জৈন জানিয়েছেন, পুজোর আগে ব্যবসার কাজ নিয়ে তিনি চূড়ান্ত ব্যস্ত। সেই জন্য আপাতত বারাণসীতে রয়েছেন। আদালত চাইলে দু’পক্ষকেই হাজিরা দিতে হবে বলেই জানান নিখিল। তবে, অন্তঃসত্ত্বা নুসরতের পক্ষে আদালতে গিয়ে বয়ান দেওয়া আদৌ সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অনেকে।