সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানকে (Nusrat Jahan) নিয়ে সমালোচনা যেন শেষই হচ্ছে না। একটা শেষ হচ্ছে তো, শুরু হয়ে যাচ্ছে আরেকটা। এই যেমন এতদিন আলোচনায় ছিল নুসরতের ছেলে ঈশানের বাবা কে? সম্প্রতি সেই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেল সবাই। সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট করতে গিয়ে নুসরত প্রকাশ্যে নিয়ে আসলেন ছেলের বাবা যশ দাশগুপ্তর (Yash Dasgupta) নাম। নুসরত ভেবেছিলেন, এবার বুঝি সব বিতর্কের নিস্পত্তি হবে। তবে দেখুন, সেটাও আর হল কোথায়! সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটা ছবি আপলোড হতেই হইচই পড়ে গেল টলি দুনিয়ায়। ছবি দেখে সবার একটাই প্রশ্ন, শেষমেশ নুসরত কি যশকে বিয়ে করলেন?
কাণ্ডটা হল, বিশ্বকর্মাপুজোর দিন নুসরতকে দেখা গেল এনা সাহার বাড়ির বিশ্বকর্মা পুজোতে। সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। আর সেখানকার ছবি দেখেই নেটদুনিয়ায় শোরগোল শুরু। ছবিটি নিজের ফেসবুকে আপলোড করেছেন জনৈক এক নেটিজেন। যিনি নুসরত জাহান ও এনা সাহার বন্ধুও বটে। সেই ছবিতেই দেখা গেল নুসরতের সিঁথিতে সিঁদুর! ব্যস, সেই ছবি দেখা মাত্রই নেটিজেনদের প্রশ্ন তাহলে কি যশের সঙ্গে বিয়ে সেরে ফেললেন নুসরত? তবে এসব নিয়ে নুসরত বা যশের তরফ থেকে কোনওরকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রতিবারের মতো এসব গুঞ্জনকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না যশরত!
[আরও পড়ুন: কোয়েল, শুভশ্রীর পর দুর্গাবেশে দিতিপ্রিয়া! মহামায়া রূপে কেমন লাগছে অভিনেত্রীকে?]
গতকালই প্রকাশ্যে এসেছে মা হওয়ার পর নুসরতের প্রথম ফটোশুটের ছবি। যেখানে সঙ্গী ছিলেন যশ দাশগুপ্তও। সেই ছবি নিয়েও নেটিজেনরা নানারকম মন্তব্য শুরু করে দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অভিনেত্রী-প্রযোজক এনা সাহার ‘চিনে বাদাম’ ছবিতে অভিনয় করছেন যশ দাশগুপ্ত। কলকাতায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই ছবির শুটিং। শোনা যায়, এনা সাহার প্রযোজনায় তৈরি প্রথম ছবি ‘এসওএস’-এর শুটিং ফ্লোরেই নাকি প্রেম শুরু হয়েছিল যশ ও নুসরতের।
কলকাতা পুরসভার বার্থ সার্টিফিকেটের পোর্টালে পুত্র ঈশানের বাবার নামের জায়গায় অভিনেতা দেবাশিস দাশগুপ্ত ওরফে যশের নাম লিখেছেন তিনি। অনলাইনে এই বার্থ সার্টিফিকেটের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬২৩ বলে পুরসভা নিশ্চিত করেছে। সন্তানসম্ভবা হওয়া থেকে শুরু করে গত ২৬ আগস্ট বেসরকারি হাসপাতালে পুত্রের জন্মের ২০ দিন পর পর্যন্ত সন্তানের পিতার পরিচয় জানাতে চাননি নুসরত (Nusrat Jahan)। একসঙ্গে দু’জনে ঘুরলে, এক বাড়িতে থাকলেও এতদিন সন্তানের পিতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চাননি। কিন্তু বুধবার রাত সাড়ে ন’টার পর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ বার্থ সার্টিফিকেটের পোর্টাল আপডেট করতেই বোমা ফাটালেন স্বয়ং বসিরহাটের সাংসদ।