সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালির অশান্তি নিয়ে সর্বত্র শোরগোল। বার বার পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে অসহযোগিতার অভিযোগ। যদিও ৫৫ দিনের মাথায় খাঁচাবন্দি সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহান। তার পর থেকেই প্রায় নিয়ন্ত্রণে সন্দেশখালির পরিস্থিতি। তবে তারই মাঝে আচমকা পুলিশে রদবদল। বদল করা হল সন্দেশখালির ওসিকে। নতুন দায়িত্বে ওসি গোপাল সরকার।
শনিবার সকালে বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুইকে বদলি করা হয়েছে বসিরহাট থানায়। সন্দেশখালি থানার নতুন ওসি গোপাল সরকার। তিনি বসিরহাট পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি ছিলেন। বাদুরিয়া থানায় ওসি প্রশান্ত মণ্ডলকে হেমনগর কোস্টাল থানায় পাঠানো হয়েছে। বসিরহাট পুলিশ জেলায় আইনশঙ্খলার দায়িত্বে ৪ সাব ইন্সপেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চিনের চিন্তা বাড়িয়ে সেলা টানেল উদ্বোধন মোদির, অরুণাচলে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ ভারতের]
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। বার বার ইডি শাহজাহানের দুটি ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে। বেশ কিছুক্ষণ পর একটি নম্বরে ফোন ধরেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা। ইডির কথা শুনে ফোন কেটে দেন। মুহূর্তের মধ্যে ওই এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে যায়। ইডি আধিকারিকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ঝরে রক্ত। এই ঘটনার পর থেকে ‘সাম্রাজ্য’ ছাড়া হয়ে যান শাহজাহান। বেশ কিছুদিন পর থেকে গ্রামের মহিলারা পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেন। তাঁদের একটাই দাবি, জমি, ভেড়ির দখল নেওয়া এবং মহিলা নির্যাতনকারী শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে। বার বার করে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে।
ইচ্ছাকৃতভাবে শাহজাহানকে নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইডি হামলার ৫৫ দিন পর পুলিশই শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে। কার হেফাজতে থাকবেন শাহজাহান, তা নিয়ে আইনি টানাপোড়েনও চলে। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে শাহজাহান। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে ওই গ্রামে বার বার তদন্তে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার নির্বাচন কমিশনও সন্দেশখালির অশান্তি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিল। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের মুখে উপদ্রুত এলাকার ওসি বদল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।