রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়, মুম্বই: ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার মেনে ভারতের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল।
চার বছর পরে শেষ চারের লড়াইয়ে ফের নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি টিম ইন্ডিয়া। কারও মনে আশঙ্কা, চার বছর আগের বিশ্বকাপের অ্যাকশন রিপ্লে হবে না তো? কেউ আবার আগের বিশ্বকাপের ফলাফল ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, নতুন একটা ম্যাচ হবে ওয়াংখেড়েতে। আগের ফলাফল প্রভাব ফেলবে না।
ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানাচ্ছেন সেমিফাইনালে নামার আগে তাঁর দল ফুরফুরে মেজাজে। চাপ অনুভব করছেন না তাঁর সতীর্থরা। চাপ কমানোর জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন তাঁরা। এমনকী কাপ যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে ১৯৮৩ এবং ২০১১-র বিশ্বজয় নিয়েও চিন্তাভাবনা করতে নারাজ রোহিত।
[আরও পড়ুন: কুলদীপ-ঘূর্ণি সামলাতে জানেন উইলিয়ামসন, শেষ চারের আগে সতর্কবার্তা সানির]
মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে ভারত অধিনায়কের দিকে উড়ে আসে ১৯৮৩ ও ২০১১ সালের বিশ্বজয় নিয়ে প্রশ্ন। হিটম্যান উত্তরে বলছেন, ”১৯৮৩-তে ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময়ে আমাদের জন্মই হয়নি। ২০১১ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময়ে আমাদের অর্ধেক ছেলেই খেলা শুরু করেনি। আগের দুটো বিশ্বকাপ জয় নিয়ে আলোচনা করতেও শুনিনি ছেলেদের। আমাদের ফোকাস একটাই, কীভাবে আরও উন্নতি করা সম্ভব। বর্তমান ক্রিকেটারদের এটাই ভালো দিক। প্রথম ম্যাচ থেকে জেতাই ছিল আমাদের আসল উদ্দেশ্য।”
চলতি বিশ্বকাপে অনায়াসে নয়ে নয় করে শেষ চারে পৌঁছেছে ভারত। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এতটা আধিপত্য বজায় রেখে কোন দল খেলেছে বিশ্বকাপে? ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে রোহিত বলেছেন, ”২০১১ সালে বিশ্বজয়ী দলের সদস্য ছিলাম না। ২০১৫ ও ২০১৯ সালের দলের মধ্যে পার্থক্য করা খুব কঠিন। এটাও বলছি না যে ২০১৯-এর থেকে ২০১৫-র দল শক্তিশালী।” অতীতে ডুব দিতে চান না হিটম্যান। তাঁর চোখ এই বর্তমানে। উন্নতি, আরও উন্নতি করাই এক ও একমাত্র লক্ষ্য রোহিতের।