ওড়িশা এফসি: ২ (রয় কৃষ্ণা, ফল)
ইস্টবেঙ্গল: ১ (দিমিত্রিয়স-পেনাল্টি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারের জুজু যেন পিছু ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলের চলতি মরশুমে টানা পাঁচ হারের পর ওড়িশার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোই ছিল লাল-হলুদের নয়া কোচ অস্কার ব্রুজোর মূল মন্ত্র। কিন্তু কোথায় কী? বড় ম্যাচে ধরাশায়ী হওয়ার পর লোবেরোর ছেলেদের বিরুদ্ধেও ভাগ্যের চাকা ঘুরল না। ফলস্বরূপ, হাফডজন হারে লিগের লাস্ট বয়ের তকমা জুটল ইস্টবেঙ্গলের কপালে। আরও একবার একরাশ হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল সমর্থকদের।
ডার্বি হারের যন্ত্রণা ভুলে মঙ্গলবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণে জোর দিয়েছিলেন দিমিত্রয়সরা। প্রথম ১২ মিনিটেই জোড়া গোলের সুযোগ আসে। কিন্তু তালালের শট গোলমুখ খুলতে পারেনি। এর পরই পালটা লাল-হলুদ ডেরায় আক্রমণ চালায় ওড়িশা। প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হলেও ২২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়াতে কোনও ভুল করেননি রয় কৃষ্ণা। ইশাকের বাড়ানো বল থেকে ডান পায়ের শটে দলকে এগিয়ে দেন মোহনবাগানের প্রাক্তন স্ট্রাইকার। লাল-হলুদ ডিফেন্স তখন কার্যত নির্বাক দর্শক। এর পর আরও এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ওড়িশা। কিন্তু তা অফসাইড বলে বাতিল হয়ে যায়। প্রথমার্থের ইনজুরি টাইমে ওড়িশার থইবা সিং বক্সের ভিতর হ্যান্ডবল করায় ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে ব্রুজোর দলের। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান দিমিত্রিয়স।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ইস্টবেঙ্গলকে আরও কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন হুগো বুমোরা। তাঁদের লাগাতার আক্রমণে আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খায় আনোয়ার আলিদের। তার উপর একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডে। তবে ৬৯ মিনিটে আরও একবার লাল-হলুদের জয়ের স্বপ্নে জল ঢেলে দেয় মৌরতোদা ফলের হেডার। আহমেদ জহৌয়ের ফ্রি-কিক থেকে ফলের গোলে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করে ফেলে লেবেরোর দল। আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে রইল লাকরার লাল কার্ড।
এদিন ওড়িশার বিরুদ্ধে লড়াই করেও জয়ের সরণিতে ফেরা হল না ইস্টবেঙ্গলের। পরের ম্যাচে মহামেডানের ম্যাচে কি ছবিটা বদলাবে? আশা ক্রমেই যেন ক্ষীণ হচ্ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের।