সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রথযাত্রার পরই ৮ জুলাই খুলে যাবে পুরীর (Puri) রত্নভাণ্ডারের দরজা। বুধবারই এমন দাবি করেছিলেন এএসআইয়ের (ASI) পুরী সার্কেলের এক শীর্ষ আধিকারিক। কিন্তু ওড়িশা সরকার জানিয়ে দিল, জগন্নাথ মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে এমন কোনও প্রস্তাব এখনও প্রশাসনের কাছে আসেইনি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সেরাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্দিরের ছত্তিশা নিযোগ অথবা ওড়িশা সরকার। তবে যদি ভবিষ্যতে এমন কোনও প্রস্তাব আসে পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ডার্ক ওয়েবে ফাঁস নেটের প্রশ্নপত্র, কেন্দ্রের অভিযোগের পরই মামলা দায়ের সিবিআইয়ের]
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে পুরীর রত্নমন্দিরের দরজা খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দিরের গোপন কক্ষে সাতটি ঘর আছে। সেই ঘরগুলিই হল রত্নভাণ্ডার। এই রত্নভাণ্ডারটি (Jagannath Temple Ratna Bhandar) দ্বাদশ শতাব্দীর বলে মনে করা হয়। মন্দিরের রত্নভাণ্ডার শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। রথের পর ফের রত্নভাণ্ডার খোলা হলে প্রায় সাড়ে চার দশক পর ওই দরজা খুলবে। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন, পুরীর রত্নভাণ্ডারের চাবিই নাকি হারিয়ে ফেলেছে নবীন পট্টনায়েক সরকার। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রত্নভাণ্ডার খোলা হবে।
কী আছে ওই রত্নভাণ্ডারে? হাই কোর্টের নির্দেশে হলফনামায় মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মন্দিরে ১৫০ কেজি সোনার পাশাপাশি রয়েছে ১৮৪ কেজি রুপো। সাতের দশকের শেষেই যাবতীয় যাবতীয় অলঙ্কার গোনা হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে শেষবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) রত্নভাণ্ডারের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে জগন্নাথদেবের মাথার রত্নচিতা ভেঙে যায়। সেই সময় শেষ রত্নভাণ্ডার খুলে সেখান থেকে কিছু পরিমাণ সোনা নেওয়া হয়েছিল। তার পর আর রত্নভাণ্ডার খোলার দরকার হয়নি।