সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চরম নৃশংসতার সাক্ষী রইল গোটা দেশ। প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা হল একটি সারমেয়কে (Dog)। মারধরের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওড়িশার (odhisha) এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার। ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বাবুলা সিং। বয়স ৫০ বছর। পাহাড়রারজপুর এলাকার বাসিন্দা। শনিবার কেন্দ্রাপাড়া এলাকায় রাস্তার একটি কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। জনৈক পথচারী গোটা বিষয়টি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। এর পরই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে পশুপ্রেমী এক সংস্থার সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় মোদি সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য কী? সমীক্ষায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য]
গ্রেপ্তারির পর বাবুলা পুলিশকে জানান, তাঁর দুটি মুরগিকে মেরে ফেলেছিল ওই সারমেয়টি। তাই তার মাথায় খুন চেপে যায়। মুরগি হত্যার বদলা নিতেই পিটিয়ে মেরে ফেলেন ওই সারমেয়টিকে। আদালতে পেশ করা হলে বিচারক অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পশুপাখিদের সঙ্গে এ ধরনের নৃশসংস আচরণের খবর মিলছে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই এ রাজ্যেই ঘটে গিয়েছে এক নৃশংস ঘটনা। ঘটনা আসানসোলের দক্ষিণ থানা এলাকায় সুমতপল্লির। এখানকারই বাসিন্দা তিন কিশোর। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিড়াল ছানাটিকে কাপড়ে জড়িয়ে উপরের দিকে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। শূন্যে ভাসতে ভাসতে নিচে ড্রেনের উপর ছিটকে পড়ল তুলতুলে সাদা ছানাটি। যদিও পরে জানা গিয়েছে, এতটা নৃশংসতা সামলে জখম হয়েছে সে, তার প্রাণ কাড়তে পারেনি কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট হতেই শোরগোল পড়ে যায় পশুপ্রেমী মহলে। আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। দেখা যায়, অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে দু’জনই নাবালক। একজন সাবালক। সকলের বাড়ি আসানসোলের বুধা এলাকায়। দুই নাবালকের বিরুদ্ধে জুভেনাইল আইনে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। আর সাবালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও জামিনে সে আপাতত মুক্ত।