সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমিক্রন আক্রান্ত এবং এই নয়া স্ট্রেনে মৃতের সংখ্যা নিয়ে কেন্দ্রের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আর তারই মধ্যে এল ওড়িশায় ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যুর খবর। এই প্রথম সে রাজ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতের মৃত্যু হল। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী হিসাব করলে এই নিয়ে দেশে দ্বিতীয় ওমিক্রন আক্রান্ত প্রাণ হারালেন। শোনা যাচ্ছে, দেশজুড়ে করোনার (Coronavirus) উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ফের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২৪ ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রাজস্থানের উদয়পুরের ৭২ বছরের বৃদ্ধই দেশের প্রথম ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। মহারাষ্ট্র সরকার সে রাজ্যে ওমিক্রনে দু’জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করলেও কেন্দ্র অন্য তথ্যই দিয়েছে। তাই হিসেব মতো, দেশে দ্বিতীয় ওমিক্রনে মৃত ওড়িশার ৫৫ বছরের প্রৌঢ়া। সম্বলপুর জেলার বুর্লার এক হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। গত ২৭ ডিসেম্বর প্রাণ হারান। সেই খবরই এবার সামনে এল।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: পরিবার-সহ করোনা আক্রান্ত সোহম চক্রবর্তী, আইসোলেশনে রয়েছেন অভিনেতা]
জানা গিয়েছে, অগলপুর গ্রামের ওই প্রৌঢ়ার সম্প্রতি বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া গত ২০ ডিসেম্বর তাঁকে বলঙ্গির জেলার একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে বুর্লার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর গত ২২ তারিখ তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়।২৩ ডিসেম্বর রিপোর্টে জানা যায়, ওই প্রৌঢ়া করোনা পজিটিভ। তাঁর শরীরে ওমিক্রন বাসা বেঁধেছে কি না, তা জানতে নমুনা পাঠানো হয় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য। তারই রিপোর্ট আসে আজ, বৃহস্পতিবার। কিন্তু তার আগেই প্রাণ হারান তিনি। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে নাকি এর নেপথ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ওই প্রৌঢ়া সম্প্রতি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, পরিবারের হাতেই প্রৌঢ়ার মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় এবং গ্রামবাসীরা সকলে মিলেই তাঁর সৎকার করেন। সেই কারণেই ওমিক্রন ছড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, দেশজুড়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসতে পারেন তিনি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনতে আর কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।