shono
Advertisement

Breaking News

Offbeat Travel

সুন্দরী ডুয়ার্সের ছোট্ট এক গ্রাম, বর্ষায় এখানে সবুজের রাজত্ব

এখানে গেলে কুয়াশা মাখা কিছু সময় উপহার হিসেবে পেয়ে যাবেন।
Published By: Suparna MajumderPosted: 06:50 PM Jun 24, 2024Updated: 06:50 PM Jun 24, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'টাপুর টুপুর' বৃষ্টি পড়ে। পাহাড়ে যাওয়া বারণ? বেশ তবে তাই হোক। বেশি উঁচু পাহাড়ে যদি যাওয়ার ইচ্ছে না থাকে তাহলে তার কাছে ডুয়ার্স তো রয়েছে। সেখানেই আবার রয়েছে পাপরখেতি। চা বাগানের ওপর দিয়ে পিচ ঢালা মসৃণ রাস্তা এঁকেবেঁকে উঠে গিয়েছে ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামে। বর্ষায় এখানে সবুজের রাজত্ব।

Advertisement

ছবি: সংগৃহীত

ডুয়ার্স মানে যেমন জঙ্গলের এক মিষ্টি ঘ্রাণ, তেমনই পাহাড়ের ভালোবাসার টান। তাই ডুয়ার্সে এসে অর্ধেক সময় জঙ্গলকে আর বাকি অর্ধেক সময় গরুবাথানকে দেওয়াই যায়। জঙ্গলে সবুজে সজীব হওয়া আর পাহাড়ে কুয়াশা মেখে শীতলতা নেওয়া। ঝান্ডি থেকে চেইল খোলা ব্রিজ টপকে রাস্তা উঠে গিয়েছে বাংলার ভূস্বর্গের দিকে। এই রাস্তায় এগিয়ে গেলে এক এক করে বঙ্গের ভূস্বর্গ, পাপরখেতি, দারাগাঁও, কুয়াপানি আর তারপর লাভা যাওয়া যায়।

যাওয়ার পথে গাড়ি থামাতেই হবে আম্বেওক টি গার্ডেনে। এর রূপ ভাষায় ব্যাখ্যা করা কঠিন। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ, আম্বেওক চা বাগানের ওপর দিয়ে পিচ ঢালা মসৃণ রাস্তা এঁকেবেঁকে পাহাড়ের উপর উঠে গিয়েছে। সেখানেই ছোট্ট চা-কফির দোকান। আর সেখান থেকেই এই পাহাড়ি চা বাগানের সদ্য ফুটে ওঠা দুটি পাতা একটি কুঁড়ির রূপকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুন। আর চা বাগান যেন ভরা যৌবন। পাপরখেতি রূপ এখান থেকেই শুরু।

[আরও পড়ুন: হিন্দি ছবিতে কমলেশ্বর! কোন চরিত্রে দেখা যাবে? ]

সেখান থেকেই আবার গহন সৌন্দর্যের ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাব। এটাকেই বলে পাপরখেতি বসতি অঞ্চল। ছোট্ট গ্রামটা। গোটা দশেক দোকান, তিরিশটা ঘরবাড়ি নিয়ে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। একটু খোঁজ নিলে থাকার জন্য হোমস্টে পেয়ে যাবেন। সামনে পিছনে এক পাশে আকাশচুম্বী পাহাড়ের সারি আর এক ধারে গভীর খাদ। কুয়াশা মাখা মিঠে বিকেল আর মাঝখান দিয়ে কালো ফিতের মতো একচিলতে সর্পিল রাস্তা চলে গিয়েছে কুয়াপানি ছাড়িয়ে সোজা লাভা। 

ছবি: সংগৃহীত

পাপরখেতির এই পথেই একমনে দেখতে থাকবেন গরুবাথানের আকাশ। সমতল থেকে উড়ে আসা মেঘেরা হয়তো আশ্রয় খুঁজবে সেখানে। কিংবা শুরু হবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আরও সুন্দর দেখাবে গরুবাথানের জঙ্গল, পাহাড় আর চায়ের বাগানগুলোকে। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা মাথাপিছু ১৫০০ টাকায় হয়ে যেতে পারে। অনেকে এখানে পিকনিক করতেও যান।

[আরও পড়ুন: নিখুঁত শরীরের দুষ্টুমির প্রশ্রয়! বলিউডের এই স্টারকিড করণ জোহরের প্রিয় পাত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ডুয়ার্স মানে যেমন জঙ্গলের এক মিষ্টি ঘ্রাণ, তেমনই পাহাড়ের ভালোবাসার টান। সেখানেই আবার রয়েছে পাপরখেতি।
  • চা বাগানের ওপর দিয়ে পিচ ঢালা মসৃণ রাস্তা এঁকেবেঁকে উঠে গিয়েছে ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামে।
Advertisement