সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে বেহাল রাস্তা। বড়সড় গর্তে ভরা পথ আমন্ত্রণ দিচ্ছে ভয়ংকর দুর্ঘটনার। তবু ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। এমন অবস্থায় বুধবার অভিনব প্রতিবাদে শামিল হলেন কর্ণাটকের (Karnataka) এক সমাজকর্মী। রাস্তায় শুয়ে গড়াগড়ি খেলেন তিনি। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের মন্দিরে সমাজের মঙ্গল কামনায় কতকটা দণ্ডী কাটার মতো এমন প্রার্থনা প্রচলিত। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সেই আচার ভাঙা রাস্তায় করলেন সমাজকর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল সেই ভিডিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনব প্রতিবাদে খবরে আসা সমাজকর্মীর নাম নিত্যানন্দ ওলাকাদু (Nityananda Olakadu)। বুধবার উডুপি-মনিপাল জাতীয় সড়কে (Udupi-Manipal National Highway) অভিনব প্রতিবাদ দেখান তিনি। নিত্যানন্দের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি বিপজ্জনক ছোট-বড় গর্তে ভরে উঠেছে। যদিও রাস্তা সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন। নিত্যানন্দের দাবি, তিন বছর আগে রাস্তা সারাইয়ের কাজের টেন্ডার হলেও আজ অবধি রহস্যজনক কারণে কাজ শুরু হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবাদে শামিল হন তিনি।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগে চিন্তা! একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও]
সেই প্রতিবাদই ছিল কতটা ভিন্ন ধারার। ভাঙাচোরা রাস্তায় গড়াগড়ি খান নিত্যানন্দ। কর্ণাটকের মন্দিরে দেবতার কাছে সমাজের মঙ্গল কামনায় ‘উরুলু সেবে’ নামের এই ধরনের প্রার্থনা করা হয়। এই প্রার্থনার নিয়ম অনুযায়ী মন্দিরের চাতালে গড়াগড়ি খেতে হয় ভক্তকে। অনেকটা বাংলার মন্দির দণ্ডীকাটা প্রণামের মতো। তবে এক্ষেত্রে পাশাপাশই গড়াগড়ি খেতে হয়। সেই প্রার্থনাই উডুপি-মনিপাল জাতীয় সড়কে করলেন সমাজকর্মী নিত্যানন্দ ওলাকাদু। যা ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
[আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখে ভারতের জমি দখল করেছে চিন! চাঞ্চল্যকর দাবি এলাকার কাউন্সিলরের]
নিত্যানন্দ আক্ষেপের সুরে বলেন, “বিষয়টিকে কেউ ইস্যু করে তুলছেন না। অথচ হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।” কটাক্ষের সুরে সমাজকর্মী বলেন, “সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অথবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি এই রাস্তা ব্যবহার করলে তবে রাস্তা সারাই হতে পারে।” সমাজকর্মীর পাশে দাঁড়াচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে তাঁদের বক্তব্য, মোদি এলেও রাস্তা সারানো হবে না। একমাত্র বড় দুর্ঘটনা ঘটলে, বেশ কয়েকজন মানুষ মরলেই এই রাস্তা সারাই হতে পারে।