shono
Advertisement
Chandrakona

মেয়ের স্কুটির শখ বলে কথা, জারে জমানো ৬৯ হাজারের খুচরো পয়সা নিয়ে শোরুমে বাবা!

১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়ে মেয়ের জন্য স্কুটি কিনলেন ওই ব্যক্তি।
Published By: Suhrid DasPosted: 06:01 PM Nov 09, 2025Updated: 06:01 PM Nov 09, 2025

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: তিনবছর আগে মেয়ে বাবার কাছে আবদার করে স্কুটি চেয়েছিল। কিন্তু সেই কথা সেসময় রাখতে পারেননি বাবা। তবে মনের মধ্যে সংকল্প করেছিলেন মেয়েকে স্কুটি কিনে দেবেন। সেই মতো টাকা জোগাড় করেছিলেন। শেষপর্যন্ত সেই ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। তবে ওই ঘটনা এখন চর্চাতে। কারণ, স্কুটি কেনার জন্য খুচরো জমিয়েছিলেন। সেই খুচরো নিয়ে হাজির হয়েছিলেন স্কুটির শোরুমে। জারভর্তি সেই টাকা দেখে কার্যত হতবাক হয়েছিলেন ওই বাইক, স্কুটারের শোরুমের কর্মীরাও। শেষপর্যন্ত দোকানের মধ্যেই ওই বিপুল পরিমাণ খুচরো গোনা হয়। ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়ে মেয়ের জন্য স্কুটি কিনলেন ওই ব্যক্তি। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়েছে এলাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়।

Advertisement

জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোণার এক নম্বর ব্লকের মৌলা পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু চৌধুরী। গ্রামেই একটি চায়ের দোকান রয়েছে তাঁর। সেই দোকান চালিয়েই সংসার চালান তিনি। সংসার চালাতে কার্যত অনেক সময়ই হিমশিম খেতে হয় ওই ব্যক্তিকে। তবে কোনও কিছুতেই তিনি আশাহত হন না বলে খবর। বছর তিনেক আগে ছোটমেয়ে সুষমা বাবার কাছে স্কুটি চেয়ে আবদার করেছিল। কিন্তু সেসময় কথা রাখতে পারেননি বাচ্চু। তবে মেয়েকে স্কুটি কিনে দেবেন তিনি, সেই কথা মনে মনে ঠিক করেছিলেন। সেই মতো একটি ঘটে খুচরো টাকা জমাতে শুরু করেছিলেন তিনি।

আজ, রবিবার সকালে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাজার এলাকারই ওই স্কুটি-বাইকের শোরুমে গিয়েছিলেন বাচ্চু। দোকানের মালিক অরিন্দম পালকে স্কুটি কেনার কথা জানানো হয়। তবে খুচরো টাকায় ওই স্কুটি কেনা হবে, সেই কথা জানানো হয়। সেই বিষয়ে আপত্তি করেননি তিনি। এরপরই শোরুমের বাইরে গিয়ে মেয়ে ও বাবা দু'জনে মিলে একটি বড়সড় জার নিয়ে ভিতরে ঢোকেন। সাইকেলের পিছনে ওই জার বসিয়ে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। তখনও শোরুমের মালিক, কর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। শোরুমের মেঝেতেই ওই জার উপুড় করে দেওয়া হয়। দেখা যায় গুচ্ছ গুচ্ছ ১০ টাকার কয়েন!

অগত্যা, দোকানের আট কর্মী ওই ১০ টাকার কয়েন গুনতে শুরু করেন। স্কুটির দাম ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। মোট ৬৯ হাজার টাকার ১০ টাকার কয়েন রয়েছে বলে জানা যায়। বাকি টাকা নোটে দেওয়া হয়। দোকানের মালিক অরিন্দম পাল বলেন, "প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। পরে দেখি এত কয়েন।" মেয়েকে স্কুটি কিনে দিতে পেরে খুশি বাচ্চু। তিনি বলেন, "তখন দিতে পারিনি। আজ পূর্ণ করলাম।" স্কুটি পেয়ে খুশি ছোটমেয়ে। জানা গিয়েছে, এর আগে বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেসময়ও তিনি এভাবেই খুচরো জমিয়েছিলেন বলে খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • তিনবছর আগে মেয়ে বাবার কাছে আবদার করে স্কুটি চেয়েছিল।
  • কিন্তু সেই কথা সেসময় রাখতে পারেননি বাবা।
  • তবে মনের মধ্যে সংকল্প করেছিলেন মেয়েকে স্কুটি কিনে দেবেন।
Advertisement