সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুন, একাধিক জায়গায় অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ছিলেন ওড়িশার গুম্মা এলাকা মাওবাদী বিভাগীয় কমিটির সদস্য। ২০০৯ সালে কালিমেলা এলাকার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাঁর খোঁজে ছিল পুলিশ। কিন্তু অবশেষে সেই কার্যকলাপ ছেড়ে সমাজের মূল রাস্তায় ফিরেছেন তিনি। কাজ করছেন একটি ব্লাডে ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে। অন্যদের বলছেন চরমপন্থা ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরতে।
ওড়িশার মালকানগিরি জেলার প্রাক্তন মাওবাদী ধনঞ্জয় গোপ ওরফে সুধীর। ছয় বছর আগে আত্মসমপর্ণ করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোরাপুট পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম রেঞ্জের ডিআইজি হিমাংশু লালের সামনে অস্ত্র ছাড়েন। ফলস্বরূপ ৫ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার পান। তাঁকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। একসময়ে যে সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করেছিলেন, সেই সম্প্রদায়কেই নিরাপত্তা প্রদান করেন। মালকানগিরি ব্লাড ব্যাঙ্কে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন তিনি। জানাচ্ছেন এখন তিনি অনেক সুখি।
মূলধারায় জীবনে ফিরে এসে সাধারণ জীবনযাপন করা ধনঞ্জয় এখন সম্পূর্ণ অন্য এক মানুষ। যাকে কয়েকবছর আগের সুধীরের (ডাক নাম) সঙ্গে মেলানো যাবে। মূল ধারায় ফিরে এসে বর্তমান ক্যাডারদের আত্মসমর্পণ করে মূলস্ত্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।
