সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তায় বের হলেই কয়েক কিলোমিটারের লম্বা যানজট। এক-আধদিন নয়, বছরের পর বছর ধরে চলছে এই অবস্থা। বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন মহারাষ্ট্রের বসই গ্রামের বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে আর্জি জানালেন, তাঁদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক।
মুম্বই-আহমেদাবাদ (NH 48) জাতীয় সড়ক গিয়েছে সাসুনঘর, সাসুপাড়া, বোবাতপাড়া এবং পথরপাড়া এলাকার মধ্যে দিয়ে। তবে এই সব অঞ্চলে রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে এখান থেকে চলা দায়। খানাখন্দে ভরা রাস্তা, ব্যাবস্থাপনা ততোধিক খারাপ। এক ঘণ্টার রাস্তা পার করতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে কোনও সুরাহা না হওয়ায় এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন এখানকার নাইগাঁও-চিঞ্চোটি-ভাসাই গ্রামের শতাধিক মানুষ। যেখানে আবেদন জানানো হয়েছে, হয় এই সমস্যার সমাধান হোক, অন্যথায় তাঁদের একযোগে জাতীয় সড়কের উপর আত্মহত্যার অনুমতি দেওয়া হোক। স্থানীয় সমাজকর্মী সুশান্ত পাটিল বলেন, "এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। শিশুরা সময়ে পরীক্ষা দিতে যেতে পারছে না, মানুষ সময়মতো অফিসে যেতে পারছে না, অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।"
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সরকারি আধিকারিকদের অবহেলার জেরেই তাঁদের জীবন বিশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে। বারবার অভিযোগ করেছি, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছি। পাটিল বলেন, "আমাদের এলাকা থেকে মীরা রোড হাসপাতাল প্রায় ২০ মিনিটের দূরত্ব। কিন্তু রাস্তার জেরে সেখানে পৌঁছতে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। বারবার প্রতিবার জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও ফল হয়নি। এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ওই অঞ্চলের পুলিশ কমিশনার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই অঞ্চলের ট্রাফিক শাখার দায়িত্ব ভাসাই ও ভিরার ট্রাফিক শাখাকে দিয়েছেন। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা সারাই, যানজট নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা, ভারী যান চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
