সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে বিহারে। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। সেই ভিড়েই এবার তাল ঠুকলেন এক গ্যাস ডেলিভারি বয়। কিষাণগঞ্জের এই যুবক ছোটেলাল মাহাতো এবারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিহারের যুযুধান দুই জোট শিবিরের বিরুদ্ধে ব্যালটের লড়াইয়ে নামার। গত ২০ বছর ধরে বিহারে নির্বাচন লড়ে আসছেন এই যুবক।
ছোটেলালের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সাংসদ কিংবা বিধায়ক হওয়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গত ২০ বছর ধরে বিহারে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে আসছেন তিনি। অবশ্য তাঁর সেই স্বপ্ন এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর বিহারে দু'দফায় বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর ফের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা করেছেন ছোটেলাল। জানা যাচ্ছে, ২০০০ সালে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে নামেন ওই যুবক। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। বয়সের মানদণ্ডে সেবার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় ছোটেলালের।
তবে প্রথমবার বাধাপ্রাপ্ত হলেও দমে যাননি যুবক। এরপর পুরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করেন। যদিও সেবার ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর ২০০৪ সাল থেকে লাগাতার নির্বাচন লড়ে আসছেন ছোটে। প্রত্যেকবার লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। যদিও প্রতিবারই হারের মুখ দেখতে হয় তাঁকে। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত গান্ধী নামে পরিচিত বিহারের দাপুটে নেতা তসলিমুদ্দিন এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেনের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছোটে বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। ছোটের কথায়, ''আমার প্রচুর জনসমর্থন রয়েছে, এবং সাধারণ মানুষ আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুদানও দিচ্ছেন। আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দিই, আমার মতো মানুষকে নেতা হিসেবে চান এলাকাবাসী। ফলে এবার আমি অবশ্যই সফল হব। মানুষ অবশ্যই তাদের ভোট দিয়ে আমার জয়ী করবেন।" জানা যাচ্ছে, ছোট একটি ঘটে পড়িবার নিয়ে থাকেন ছোটেলাল মাহাতো। তাঁর স্ত্রী ছাগল, মুরগি এবং ডিম বিক্রি করে ছোটেকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেন।
