সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষ হওয়ার কিছু আগেই আবারও শিরোনামে উঠে এসেছেন বাবা ভাঙ্গা (Baba Vanga)। বুলগেরিয়ান এই অন্ধ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বহু আগেই গোটা বিশ্ব জুড়ে ২০২৬ সালে আর্থিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দেন। সেই সূত্র ধরেই বিশেষজ্ঞরা আগামীতে সোনার মূল্য বৃদ্ধির আগাম আভাস দিয়েছেন। আর্থিক নিরাপত্তার সোপান হিসেবে সোনাকে অনেকেই প্রাধান্য দেন। এই ধাতু সংগ্রহে রাখলে আপদে বিপদে তা আমাদেরকে রক্ষা করে। সোনা সঞ্চয়ে থাকলে আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়।
দাবি করা হচ্ছে ২০২৬ সাল এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাবে। আর প্রযুক্তি, রাজনীতি, অর্থনিতি সব ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে বড়সড় অঘটন। যদিও এই সব ভবিষ্যদ্বাণীর কোনও প্রামাণ্য নথি নেই। তবে বাবা ভাঙ্গার সমর্থকরা মনে করেন, যেহেতু অতীতে এই ভবিষ্যৎদ্রষ্টার বহু গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছিল, তাই এবারেও হয়তো তা অক্ষরে অক্ষরে মিলবে।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীগুলি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে তিনি ২০২৬-এ সরাসরি আর্থিক সংকটের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই ইঙ্গিত মেনেই মনে করা হচ্ছে সোনার দাম ২০২৬ সালে আকাশ ছোঁয়া হবে। আর ঐতিহাসিক ভাবেও যেকোনও বিপর্যয় বা মন্দার সময় সোনার দাম যে হু হু করে বাড়ে, তা আমরা অতীতে দেখেছি। অতীতে বিশ্বব্যাপী সংকটগুলিতেও সোনার দাম ২০-৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, যদি বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে ২০২৬ সালের দীপাবলি (অক্টোবর-নভেম্বর) নাগাদ ভারতে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়াবে ১,৬২,৫০০ টাকা থেকে ১,৮২,০০০ টাকা পর্যন্ত। বিশ্বব্যাপী যে আর্থিক অনিশ্চয়তা ফুটে উঠেছে, তাতে এই হিরণ্য ধাতু সঞ্চয়ে রাখাই ভালো।
