সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্রের নীচে হাত ডোবালেই মিলছে সোনা (Gold)! কপাল ভাল থাকলে মিলতে পারে অন্যান্য মূল্যবান ধাতু, রত্নও! সেকথা রটতেই অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরীতে সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন মহিলা থেকে বৃদ্ধ প্রায় সকলেই। তাঁদের লক্ষ্য একটাই সোনা কুড়িয়ে নিয়েই যেতে হবে বাড়িতে। আর তা বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা।
ঠিক কীভাবে রটল একথা? ইউ কোঠাপল্লির সাব ইনস্পেক্টর বি লোভা রাজু জানান, ঘূর্ণিঝড়ের নিভারের (Cyclone Nivar) তাণ্ডবের পর গত শুক্রবার সকালে চার-পাঁচজন মৎস্যজীবী সমুদ্রের পাড়ে আসেন। তাঁরা দেখেন সোনার মতো দেখতে হলুদ রঙের কিছু জিনিস পড়ে রয়েছে। তা তারা কুড়িয়ে নেন। এরপর নাকি বাজারে বেশ চড়া দামে তা বিক্রিও করেন মৎস্যজীবীরা। ব্যস! সোনার হদিশ মেলার খবর বলে কথা। তা ছড়িয়ে পড়তে কী আর সময় লাগে? তাই তো মুহূর্তের মধ্যেই সোনার হদিশ মেলার খবর সর্বত্র দাবানলের মতো হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: চাপ বাড়ল মধ্যবিত্তর, পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্সের নিয়মে বড় বদল]
তা কানে আসামাত্র অনেকেই ভাবেন মৎস্যজীবীরা (Fisherman) যখন পেয়েছেন তখন যে-ই যাবেন সেই কুড়িয়ে পেতে পারেন সোনা। আর মুহূর্তের মধ্যেই হয়ে যেতে পারেন বিপুল অঙ্কের অর্থের মালিক। তাই তো ভিড় জমান সমুদ্রের পাড়ে। কেউ সমুদ্রের তীরে বালির মধ্যে সোনার খোঁজে পাগল। তো কেউ সমুদ্রের জলের মধ্যে সোনার হদিশের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছেন। ওই মৎস্যজীবীরা ছাড়া অন্য কেউ আর সোনার হদিশ পেয়েছেন বলে এখনও শোনা যায়নি।
মৎস্যজীবীদের দাবি, শুধু ঘূর্ণিঝড় নিভারের পরই নয়। অন্যান্য যেকোনও শক্তিশালী ঝড়ের পরই অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) সমুদ্রের তীরে কিংবা জলে সোনা পাওয়ার কথা রটে যায়। তার কারণ বৃষ্টির ফলে অধিকাংশ মন্দির জলমগ্ন হয়ে যায়। আর তখনই পুণ্যার্থীদের দান করা সোনা, মূল্যবান ধাতু, রত্ন ভেসে সমুদ্রে চলে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই কিছু মানুষ ভাবেন সমুদ্রের তলায় বা পাড়ে গেলেই হয়তো মিলতে পারে সোনা। সে কারণে এমন কাণ্ড বারবার ঘটে।