সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশকের পর দশক ধরে ঋণে জর্জরিত ছিলেন গোটা গ্রামের কৃষকরা। অধিকাংশ দিনই তাঁদের কাটত হতাশা এবং উৎকণ্ঠায়। এই পরিস্থিতিতে সাক্ষাৎ ‘দেবদূত’ হয়ে তাঁদের সামনে উপস্থিত হন ওই যুবক। গ্রামের সমস্ত কৃষকদের ঋণ মেটানোর দায়িত্ব একার কাঁধেই নেন তিনি। তাঁর এই মহৎ পদক্ষেপে কাটল গোটা গ্রামের উপরে থাকা আশঙ্কার মেঘ। জানা গিয়েছে, ২৯০ জন কৃষকের মোট ৯০ লক্ষ টাকা ঋণ মিটিয়েছেন ওই যুবক।
যুবকের নাম বাবুভাই জিরাওয়ালা। তিনি গুজারাটের আমরেলি জেলার জিরা গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে এই মহৎ পদক্ষেপ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সাল থেকে ঋণের ভারে ন্যুব্জ ছিলেন ওই গ্রামের কৃষকরা। সেই সময় গ্রামের কো-অপারেটিভ ঘিরে বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। গ্রামের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ কৃষকদের নামে প্রচুর ভুয়ো ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে, সেই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে কৃষকরা সরকারি প্রকল্প, সহায়তা এবং ব্যাঙ্ক থেকে নতুন ঋণের নেওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হন।
জিরাওয়ালা বলেন, “আমার মা যখন জীবিত ছিলেন, তখন তিনি তাঁর গয়না বিক্রি করে কৃষকদের ঋণ পরিশোধ করতে চাইতেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্যই আমি এবং আমার ভাই এই পদক্ষেপ করি। ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে ঋণ পরিশোধের ইচ্ছা প্রকাশ করি। ব্যাঙ্ক আমাদের সহযোগিতা করে। সমস্ত কৃষকরা তাঁদের ঋণমুক্তির শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছেন।”
