সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নানা পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে বছর শেষ। বর্ষবরণের একেবারে দোরগোড়ায় আমরা। অতীতে যন্ত্রণাকে দূরে সরিয়ে আগামী বারো মাসের জন্য ফের নতুন শুরু। আগামী বছর ভালো কাটুক, সে প্রত্যাশা সকলের। আর সে কারণে নানা নিয়ম পালন করেন অনেকেই। কোন দেশের মানুষ কোন রীতি পালন করেন, চলুন তা দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমেই আসা যাক স্পেনের কথায়। সেখানে অনেকেই নাকি রাত ১২টার সময় বারোটি আঙুর খান। তাঁদের বিশ্বাস, তাতেই নাকি গোটা বছর সৌভাগ্য বাঁধা থাকবে।
ব্ল্য়াক আইড পিস সৌভাগ্যের প্রতীক এবং কলার্ড গ্রিনস আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির প্রতীক। তাই ইউরোপে বিভিন্ন এলাকায় ব্ল্যাক আইড পিস এবং কলার্ড গ্রিন খান কেউ কেউ।
গ্রিসে ভ্যাসিলোপিটা কেকের মধ্যে লুকিয়ে রাখা কয়েন খোঁজার রীতি রয়েছে। বর্ষবরণের রাতে তা খুঁজে বের করার রীতি পালন করা হয়। অনেকের বিশ্বাস, এই কাজ সঠিরভাবে করতে পারলে নাকি ভাগ্যদেবী প্রসন্ন হোন।
কেউ কেউ আবার বর্ষবরণের রাতে মনের মানুষকে চুমু দিয়ে উদযাপন করেন। বিশ্বাস, তাতে নাকি বছরভর নিজের কাছে বাঁধা থাকেন মনের মানুষ। জীবনে যত চড়াই উতরাই আসুক না কেন, সঙ্গী থাকবেন সঙ্গেই।
ইটালিতে আবার জানলা দিয়ে পুরনো আসবাবপত্র ফেলে দেওয়ার রীতি হয়েছে। তাঁদের বিশ্বাস, এভাবে নাকি অতীতকে ছুড়ে ফেলে এগিয়ে যাওয়া যায় বর্তমানের দিকে।
ব্রাজিলের অনেকে বিশ্বাস করেন পায়ে সাদা মোজা পরে সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর সাতবার লাফিয়ে মনের কথা বললে তা পূরণ হয়।
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দারা বাড়িতে উপহার নিয়ে ঢোকেন। উপহারের তালিকায় থাকা হুইস্কি নাকি সৌভাগ্যের প্রতীক। কেউ কেউ আবার দরজা, জানলা খুলে রেখে ঘুমোন। তাতে পুরনো যত আক্ষেপের মুক্তি ঘটে নতুন শুরু হয়।
আইরিশরা আবার বর্ষবরণের রাতে গোটা বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন না। কারও সঙ্গে আর্থিক লেনদেন থেকেও দূরে থাকেন তাঁরা।
ভারতীয়রাও নানা রীতি পালন করেন। কেউ কেউ বর্ষবরণের রাতে বাজি ফাটান। দরজা, জানলা খুলে রাখেন কিছুক্ষণ।
বছরের প্রথম দিনে আবার কোনও কোনও ভারতীয় মহিলা নতুন বছরের প্রথম দিনে শ্যাম্পু করেন না।
কাউকে টাকা ধার দেন না। সংসারের শ্রীবৃদ্ধিতে অনেকে নতুন পোশাক পরেন। লাল রঙের পোশাককেই বেছে নেন তাঁরা। আবার কেউ কেউ সৌভাগ্যের আশায় নানা রেসোলিউশন নেন।
