অর্ণব আইচ: চোর অভিযোগে গণধোলাই। ফের গৃহস্থের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করল 'চোর'। তার দাবি, শুধু চোর সন্দেহেই তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। যদিও গৃহস্থের পাল্টা দাবি, তিনজন চোরের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলা হয়। তার কাছ থেকে কিছু চোরাই সোনার গয়নাও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব কলকাতার তিলজলা থানা এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনাটি। কয়েক মাস আগে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে। সেখানেও গণধোলাইয়ের পর গৃহস্থের বিরুদ্ধে পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল 'চোর'। ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটল তিলজলায়। তিলজলা এলাকার তপসিয়া রোডের এক বাসিন্দা অভিযোগ জানান যে, তাঁরা সপরিবার বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় পরিবারের লোকেরা বাড়ি ফিরে দেখেন, বাড়ির দরজার লক ভেঙে ভিতরে ঢুকেছে তিন চোর। তাঁরা ঘরের ভিতর ঢুকে চিৎকার, চেঁচামেচি করতে শুরু করার পরই তারা পালিয়ে যায়। ঘরের আলমারির দরজা ছিল খোলা। বিছানার উপর তারা ফেলে রেখে যায় ফাঁকা গয়নার বাক্স। তাদের সন্ধানে বাড়িতে খোঁজ চালাতে গিয়ে এক যুবককে পরিবারের লোকেরা ছাদে লুকিয়ে থাকতে দেখেন। তাকে ধরে কিছু গয়নাও উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, মহম্মদ ইরফান নামে ওই যুবকের অভিযোগ, সে তপসিয়া রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ই তাকে চোর সন্দেহে ধরা হয়। তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়। প্রচণ্ড মারধর করা হয় তাকে। একটি লাঠি দিয়েও মারা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা ও বাম চোখে আঘাত লাগে। শেষ পর্যন্ত গৃহস্থরা তাকে তিলজলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর নজরদারি রাখতে শুরু করেছে। পুলিশের কাছে সে-ও মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ দায়ের করার স্বাধীনতা প্রত্যেকেরই রয়েছে। দু'পক্ষের অভিযোগই নেওয়া হয়েছে। দু'টি অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
