সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন বাড়ছে দেনার বোঝা। শোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন গুজরাটের যুবক। কোনও উপায় না দেখে শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন হুনানি সিরাজ আহমেদ ভাই।
এখানেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। জানা গিয়েছে, সিরাজের মাথায় ছিল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার দেনা। ১৭ সেপ্টেম্বর রাবার ব্যান্ড সংক্রান্ত ব্যবসার কাজে কেরলের পালাক্করে যান তিনি। ফেরার পথে আত্মহত্যার ছক কষেন।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। বাড়ি ফেরার পথে ভরতপুজা নদীর উপরে চেরুথুরুথি ব্রিজের উপর থেকে নদীর ছবি তুলে স্ত্রীকে পাঠান তিনি। জানিয়ে দেন, নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছেন। এরপরে ফোন বন্ধ করে দেওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে।
এরপরেই হুলুস্থুলু পরে যায় পরিবারে। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তিন দিন খোঁজার পরেও সিরাজের দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি নদীতে। এই ঘটনায় সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। আরও তল্লাশির পরে সিরাজের খোঁজ পাওয়া যায় বেঙ্গালুরুতে। পুলিশের একটি বিশেষ দল বেঙ্গালুরুতে গিয়ে গ্রেপ্তার করে সিরাজকে। সেখানে উবের চালক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।
তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সিরাজ স্বীকার করেন যে পাওনাদারদের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে তিনি সাজানো আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। এরপর তাকে জেলা আদালতে হাজির করা হয় এবং পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
