সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যার কেউ নেই তার ইউটিউব আছে! একালের এই সত্যকে ফের প্রমাণ করলেন ওড়িশার বোন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেধাবী তরুণী বিনি মুরুলি। মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। বাবা রান্নার কাজ করেন। সামর্থ কই যে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হবেন, অথচ বামুন হয়ে চাঁদ ধরার মতো প্রশাসক হওয়ার সাধ। যার জন্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসতে হত। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন পূরণে ওড়িশা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন তরুণী। কষ্টের চেষ্টায় কেষ্টও মেলে। সাফল্য এসেছে। কিন্তু কীভাবে?
সরকারি চাকরির কঠিন পরীক্ষা পাশ করার জন্য ইউটিউবের সহযোগিতা নিয়েছিলেন তিনি। ইন্টারনেট থেকেই পরীক্ষার জন্য স্টাডি মেটিরিয়ালও জোগাড় করতেন। ওড়িশার মালকানগিরির খেমাগুড়ার বাসিন্দা বিনি। ২০২০ সালে প্রথম বার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি তিনি। কিন্তু এবারে ব্যর্থতাকে হটিয়ে সিভিল সার্ভিস পাশ করেছেন বোন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের গর্ব তরুণী।
শনিবার সন্ধ্যায় পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, ৫৯৬ র্যাঙ্ক হয়েছে বিনির। বোন্দা সম্প্রদায় থেকে বিনিই প্রথম এত উচ্চপদের একটি চাকরি পেলেন। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বিনি বলেন, সাক্ষাৎকারে বিনি বলেন, "জানতাম, আমার বাবা-মা কোচিংয়ের জন্য জন্য টাকা জোগাতে পারবেন না। কিন্তু অর্থাভাবকে আমার স্বপ্নের বাধা হতে দিইনি।" স্বভাবতই কন্যার সাফল্যে গর্বিত বাবা রাম মুরুলি, মা সুনামালি।