সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনে চলার পথে প্রত্যেক মানুষের সঙ্গী প্রয়োজন। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে পুরুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট। মহিলাদের ক্ষেত্রেও তাই। তবে এখন কিছু ব্যতিক্রমী ঘটছে। সে আলাদা বিষয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে একাধিক গবেষণায় উঠে আসছে একাকিত্বে ভুগছেন পুরুষরা। বিয়ের থেকে অনেকেই ঝুঁকছেন 'ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডে'। দায়িত্ব নিতে চাইছেন না সংসারে। এখানেই উঠে আসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেই দেশ থাইল্যান্ডের নাম। সেখানে সহজলভ্য রাতের সঙ্গী। পাওয়া যায় 'ভাড়ার স্ত্রী'। হ্যাঁ! ঠিকই পড়েছেন ঘর ভাড়ার মতো পাওয়া যায় স্ত্রীও। বিষয়টি ঠিক কী?
ল্যাভার্ট এ ইম্যানুয়েলের লেখা ‘তাই ট্যাবু দ্য রাইজ় অফ ওয়াইফ রেন্টাল ইন মডার্ন সোসাইটি’ বইটিতে দাবি করা হয়েছে থাই সুন্দরীরা একদিন বা কয়েকদিনের জন্য অন্য করাও বউ হিসাবে থাকতে রাজি হচ্ছেন। কতদিন তাঁরা কোনও পুরুষের বউ হিসাবে থাকবেন তা নির্ভর করছে টাকার অঙ্কের হিসাবে।
এই দেশে প্রচুর পর্যটক ঘুরতে যান। পুরুষ পর্যটকরা চাইলে সুন্দরীরা তাঁদের 'স্ত্রী' হিসাবে ভাড়ায় যেতে রাজি। কিন্তু কেন? বইটিতে দাবি করা হয়েছে, পরিবার ও সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্বের জন্য এই পেশা বেছে নিচ্ছেন অল্প বয়সের সুন্দরীরা।
থাইল্যান্ডের পাটায়া শহরে এই 'ভাড়ার স্ত্রী' বিষয়টি খুব জনপ্রিয়। যা ‘ব্ল্যাক পার্ল' নামে পরিচিত। কোনও পুরুষ নিজের পছন্দের নারীকে বেছে নিতে পারেন। সুন্দরীরা 'স্ত্রী'র মতোই আচরণ করবেন। কাটাবেন রাত। তবে কতদিনের জন্য তা নির্ভর করছে টাকার অঙ্কের উপর। এই নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। কেউ ভালো চোখে দেখছেন, কেউ আবার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে বদলে যাওয়া জীবনযাত্রায় এখন এটাই নাকি 'নিউ নর্মাল' জানাচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
