রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: জঙ্গলে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে বন্যপ্রাণীদের যাতায়াত কিংবা হামলার খবর পাওয়া যায় প্রায়শয়ই। তার জন্য কৃষকদের রক্ত জল করা ফসলের ক্ষতিও হয়। কিন্তু পিঠ চুলকাতে ভুট্টা খেতে আশ্রয় নিয়ে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট! এও কি সম্ভব? কিন্তু এমন অসম্ভব ব্যাপারও যে বাস্তবে ঘটে, তার প্রমাণ হাতেনাতে পেলেন জলদাপাড়া (Jaldapara)অভয়ারণ্যের বনকর্মীরা। সেই গণ্ডারকে খেত থেকে বের করতে কুনকি হাতি নামাতে হল। কৃষকদের অভিযোগ, এমনিতেই ১০০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করে ক্ষতি হয়েছে। আর গণ্ডার (Rhino) উৎপাতে তা আরও বাড়ল।
রবিবার, পয়লা বৈশাখের সকালেই গণ্ডারের কাণ্ডকারখানায় উৎসবের আমেজ মাথায় উঠেছিল জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সংলগ্ন পশ্চিম সিমলাবাড়ি, দত্তের বান এলাকার বাসিন্দাদের। পিঠ চুলকানোর জন্য জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে জলদাপাড়ার একটি একশৃঙ্গ গণ্ডার। আর ভুট্টা খেতে ঢুকে পড়ে এবং গোটা এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। তাতে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা (Farmers)। ভুট্টা গাছ ভেঙে দেয়। কৃষকদের অভিযোগ, ১০০ বিঘার বেশি ভুট্টা চাষ নষ্ট হচ্ছে।
[আরও পডুন: নির্বাচনী আবহে অভিষেকের হেলিকপ্টার থামিয়ে আয়কর তল্লাশি! কী মিলল?]
প্রতি বছরে একবার ভুট্টা চাষ করেন কৃষকরা, মুনাফা লাভের জন্য। তবে কৃষকদের সেই আশা অধরাই থেকে যায়। ভুট্টা পাকার সময় হয়েছে এখন। আর ঠিক এই সময়েই গণ্ডারের তাণ্ডবে অতিষ্ট কৃষকরা। স্রেফ পিঠ চুলকানোর জন্য আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সংলগ্ন পশ্চিম সিমলাবাড়ি দত্তের বান এলাকার ঘটনায় চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মীরা গণ্ডারটিকে ভুট্টা খেত থেকে বের করার জন্য পোষা কুনকি হাতি ব্যবহার করেন। শেষমেশ গণ্ডারটি খেতের ক্ষতি করে তবেই সেখান থেকে পালায়। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন কৃষকরা। তবে আক্ষেপ এই, ভুট্টা চাষে যেটুকু লাভের আশা ছিল, তাও শেষ এই গণ্ডারের জন্য।