স্টাফ রিপোর্টার: শরীরে অশরীরীর ভর! বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির যুগে এমন বুজরুকিও কার্যত অসম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা অশরীরী নিয়ে গবেষণা করেন, তাঁদের কাছেও এই ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা নেই। আর ভূত চতুর্দশীর দিন এসবকে ভিত্তিহীন গল্প বলে ধরে নিতেই পারেন আপামর জনতা।
তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে বাড়িতে যে সব ঘটনা ঘটেছে, অনেক তথ্য অনুসন্ধানের পর 'স্পিরিট'-এর সদস্যরা তার তদন্তে যাবেন বলেই মনোস্থির করেছেন। তরুণীর মৃত্যুর পর পাশের বাড়ির এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু। পরিবারের সন্দেহ, দুটি মৃত্যুর সংযোগ রয়েছে। বিস্ময়ের মাত্রা ছাড়িয়েছে অন্য ঘটনায়। তরুণীর মৃত্যুর পর তাঁর ৩ মাসের সন্তানকে ৫৫ বছর বয়সি শাশুড়ি 'মাতৃদুগ্ধ'-এ পুষ্ট করেছেন। ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা নড়েচড়ে বসেছেন। বায়োলজিক্যালি তো এই ঘটনা অসম্ভব! ওই বয়সে স্তনদুগ্ধ আসবে কীভাবে!
একটা দুর্ঘটনায় বাড়ির তরুণী বধূর আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়। তখন তাঁর ৩ মাসের সন্তান। ঘটনার পর বাড়িতে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। কখনও বাসন পড়ে যাচ্ছে, ফাঁকা ঘরে হাঁটাহাঁটির শব্দ আসছে। বিস্ময়ের মাত্রা ছাড়ায় তখনই, যখন শাশুড়ি বুঝতে পারেন তাঁর 'ব্রেস্ট মিল্ক' তৈরি হচ্ছে। ভয় ধরে গেলেও মা-হারা দুধের শিশুকে নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটে তার। সেই শিশু এখন বছর আটের বালক।
সিসটেমেটিক প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ইনটেলিজেন্স টিম বা 'স্পিরিট'-এর সৌমেন রায় বলছেন, "এর কোনও ব্যাখ্যা এখনও আমরা পাইনি। ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয়রা বলছেন ওই বয়স্ক মহিলার ভিতর তাঁর পুত্রবধূ ভর করেছিল, নিজের সন্তানের স্বার্থে। সেই শাশুড়ির শরীরে ভর করে সন্তানকে দুধ পান করিয়ে গিয়েছে।” কিন্তু ওই পরিবারের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।
