সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এখনও পণের জন্য বধু হত্যার খবর পাওয়া যায়। এর মাঝেই একটা মন ভালো করে দেওয়া খবর জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে। ২৬ বছরের এক যুবক ৩১ লক্ষ টাকা পণ ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে এক ২৬ বছরের যুবক বিয়ের সময় ৩১ লক্ষ টাকা পণ ফিরিয়ে দিয়েছে। বিয়ের আমন্ত্রিতরা জানিয়েছেন ২৪ বছরের ওই পাত্রীর বাবার মৃত্যু হয় কোভিডের সময়। বিয়ের সময় তিলক অনুষ্ঠানে ওই টাকা একটি থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় পাত্রকে।
এই সময় পাত্র জানিয়ে দেন, 'এই টাকা নেওয়ার কোনও অধিকার আমার নেই। এটা পাত্রীর বাবার কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা। আমি এটা নিতে পারব না।' দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এক প্রথার বিরুদ্ধে পাত্রের এই বিদ্রোহ উপস্থিত সকলের মন জয় করে নিয়েছে।
পাত্রের পুরিবার তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, পাত্রীর পরিবার এই ঘটনায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। জানা গিয়েছে এই ঘটনার পরের নির্বিঘ্নেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় খুশি গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি সর্বসমক্ষে পাত্র অবধেশ রাণার পণের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এই ঘটনাকে পণ নেওয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হিসেবে দেখছেন। অবধেশ জানিয়েছেন, "বিয়ের দিন আমার স্ত্রী অদিতি সিং-এর পরিবার ৩১ লক্ষ টাকা পণ দিতে চায়। আমরা সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি কারন আমরা পণপ্রথার বিরোধী।"
কোভিডের সময় অদিতির বাবার মৃত্যু হয়। এর পর থেকে অদিতি এবং তাঁর ভাই দাদুর কাছেই বড় হয়েছেন। অদিতি এমএসসি পাশ করার পরে তাঁর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরিবারের তরফে।
