সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি ভূখণ্ডেই পাহাড়-সমুদ্র-মরুভূমি, সেখানেই ইতিহাস আর প্রাচীন স্থাপত্য তথা শিল্পকলার ভাণ্ডার। ভারতের মতো বৈচিত্রময় পর্যটনস্থল বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া কঠিন। তথাপি মালদ্বীপ, বালি, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের মতো ছোটখাটো দেশ পর্যটক টানায় পিছনে ফেলে দিচ্ছে ভারতকে। অন্যতম কারণ কী সাধারণ ভারতীয়ের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ? প্রশ্ন তুললেন জনপ্রিয় ভ্লগার এবং সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শচীন কে ধর। আরব সাগরের তীরে কেরলের ভারকালা ক্লিফ সৈকত এমনিতে এক টুকরো স্বর্গ। কিন্তু হলুদবালির সাগরতীর জলের বোতল, মদের বোতল, চিপসের প্যাকেট ভরা। একটি ভিডিওতে জঞ্জাল ভরা সৈকত দেখিয়ে শচীনের কাতর অনুরোধ, "প্রিয় ভারতীয়রা, এমন আচরণ এবার বন্ধ করুন।"
ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন শচীন। সেখানে দেখা গিয়েছে, কেরলের সুন্দরী সৈকতের নীল জলরাশি এবং সোনা রঙের বালুকাবেলা। অথচ সেখানেই জঞ্জালের পাহাড়! কী নেই সেখানে---জল, মদ, কোলড্রিঙ্কের বোতল, চা, কফির কাপ, চিপসের প্যাকেট-সহ বিভিন্ন ধরনের পলিথিনের প্যাকেট। জনৈক বিদেশি পর্যটক ভাবতেই পারেন--সৈকতটি বুঝি ডাস্টবিন হিসাবে ব্যবহার হয়। ভিডিও দেখে বোঝা যায়, এমন অবস্থা সৈকতের একটি দিকে নয়, বরং সবখানে। কারা এই হাল করলেন?
যাঁরা বেড়াতে এসেছেন, তারাই এ কাজ করেছেন। যা নিজের বাড়ি নোংরা করার সমতুল্য। আত্মঘাতী এই আচরণের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন ভ্লগার এবং সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শচীন কে ধর। ভিডিওতে বলার পাশাপাশি ক্যাপশানে শচীন লিখেছেন, "আমি কখনই ভাবিনি এত জঞ্জাল থাকবে সৈকতে।" প্রশ্ন তোলেন, "গোলমালটা কোথায়? এভাবে আবর্জনা ফেললে মা-প্রকৃতি ধ্বংস হবে, এটা বোঝা খুব কঠিন? আমরা প্রকৃতিকে সম্মান জানাতে, উপভোগ করতে এবং নিভৃতে কিছুটা সময় কাটাতে এই ধরণের দুর্দান্ত স্থানগুলিতে যাই।"
জনপ্রিয় ভ্লগার এবং সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার জানান যে জেনেবুঝেই এই ধরণের ভিডিও তৈরি করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তিনি। নিজের দেশের কিছু অবুঝ মানুষের প্রতি শচীনের বার্তা, "প্রিয় ভারতীয়রা, এমন আচরণ বন্ধ করুন।" উল্লেখ্য, শচীন যে পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন তা কেবল কেরলের একটি সৈকতের না। বরং ভারতের অধিকাংশ পর্যটনস্থলের। প্রশ্ন হল, শচীনের বার্তায় কি কিছু মানুষের জ্ঞানচক্ষু উন্মেষ হবে?
