সুপর্ণা মজুমদার: নতুন কিছু করার তাগিদ থেকেই শিবরাম সমগ্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। লেখকের সৃষ্টির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা হাস্যরস একত্র করে ‘চলো পটল তুলি’ (Cholo Potol Tuly) তৈরি করেছিলেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রচনা-নির্দেশনাতেই মঞ্চে হাসি বিলিয়ে চার্বাকের দিন ফিরিয়েছে বিখ্যাত এই নাটকটি। মঞ্চে ২৫০ রজনী অতিক্রম করেছে। দর্শকদের হাততালি পেয়েছে। এবার সিনেমার পর্দায় উঠে এসেছে মঞ্চখ্যাত ‘চলো পটল তুলি’। মুক্তি পাবে পুজোর মরশুমেই। প্রকাশ্যে এসেছে ছবির ট্রেলার।
[আরও পড়ুন: পুজোর মরশুমে খুলছে প্রেক্ষাগৃহ, কীভাবে কাটবেন টিকিট? কীভাবে বসতে হবে? জেনে নিন]
দুঁদে পুলিশ অফিসার থেকে মগজাস্ত্রে শান দেওয়া ফেলুদা, সব্যসাচী চক্রবর্তীর (Sabyasachi Chakraborty) অভিনয়ের নানা বৈচিত্র্যের সাক্ষী হয়েছেন দর্শকরা। তবে সিনেমায় কৌতুকাভিনয়ের উদাহরণ একটু কমই রয়েছে। নয়ের দশকের প্রজন্ম ছোটবেলায় ‘ছুটি ছুটি’ অনুষ্ঠানে একটি নাপিতের গল্প হয়তো দেখেছিলেন। যেখানে জোছন দস্তিদারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভূত হিসেবে অভিনয় করেছিলেন সব্যসাচী। সেই স্মৃতিই যেন ফিরে এল ‘চলো পটল তুলি’র এই ঝলকে। মঞ্চের সফল নাটকটি শাঁওলী মজুমদারের প্রযোজনায় নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন অভিনেতা-পরিচালক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় (Arindam Ganguly)। চিত্রনাট্যও তাঁর লেখা। সব্যসাচী-অরিন্দম ছাড়াও রয়েছেন দেবশংকর হালদার (Debshankar Halder), শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, খেয়ালি দস্তিদার, দেবরাজ মুখোপাধ্যায়, অপরাজিত আঢ্য, কাঞ্চন মল্লিক, বিশ্বনাথ বসু, জর্জ বেকার, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পোড় খাওয়া শিল্পীরা। রয়েছেন সব্যসাচী-পুত্র গৌরব চক্রবর্তীও।
বহু দিন ধরেই ছবির শুটিং চলেছে। একাধিকবার নানা কারণে শুটিং বন্ধ করতে হয়েছে। নিজের চেহারার পরিবর্তন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু হাল ছাড়েননি পরিচালক অরিন্দম। অবশেষে মুক্তির দিন ধার্য হয়েছে ২৩ অক্টোবর। নন্দনে হবে ছবির প্রিমিয়ার। তার আগে দক্ষিণ কলকাতার এক হোটেলে আনু্ষ্ঠানিকভাবে হয়ে গেল পোস্টার এবং ট্রেলার লঞ্চ। তারকাদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে।