সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির (Old Couple) দেহ। মেঝেতে মুখে বালিশ চাপা অবস্থায় পড়েছিলেন গৃহকর্তা। বিছানা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুনই করা হয়েছে ওই দম্পতিকে। এই ঘটনায় পরিচিত কেউ জড়িত নাকি অপরাধী সম্পূর্ণ অপরিচিত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহত দম্পতির মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুরুলিয়া (Purulia) শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর ছিয়াত্তরের ক্ষীরোদ সিন্ধু রায় এবং তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের (৭০)। তাঁদের একমাত্র মেয়ে পম্পা সরকার বিবাহ সূত্রে সদরপাড়ার বাসিন্দা। প্রায় প্রতিদিনই বাপের বাড়িতে আসাযাওয়া ছিল তাঁর। শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ বাপের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে নিজের বাড়ি ফিরে যান। শনিবার সকালে দম্পতির ফ্ল্যাটে পরিচারিকা অঞ্জলি বাউড়ি কাজ করতে যান। কলিং বেল বাজান। কোনও সাড়াশব্দ পাননি তিনি। দরজা ধাক্কা দেন। সামান্য ধাক্কাতেই দরজা খুলে যায়। ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যান তিনি। দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছে গৃহকর্তার দেহ। তার মুখে বালিশ চাপা দেওয়া। বিছানা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন কৃষ্ণাদেবী।
[আরও পড়ুন: ট্যাঙ্কার মালিকদের ধর্মঘটে জ্বালানিশূন্য ৬ জেলার বহু Petrol Pump, ভোগান্তি কলকাতাতেও]
চিৎকার করতে শুরু করেন পরিচারিকা। ফ্ল্যাটের অন্যান্য আবাসিকরা জড়ো হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গৃহকর্তাকে শ্বাসরোধ করে এবং তাঁর স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্রের কোপে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই খুনের ঘটনায় জড়িত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগন জানান, সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে কেউ ওই দম্পতিকে খুন করে থাকতে পারে। তবে তদন্ত না করে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না। ইতিমধ্যেই আসানসোল (Asansol) থেকে পুলিশ কুকুর আনা হচ্ছে। ওই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।