অর্ণব আইচ: চাঁদনি চকে (Chadni Chawk) ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ। আর্থিক কারণে ওই ব্যক্তি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। তবে নিহতের পরিজনদের বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার লালবাজারের ১০০ নম্বরে ফোন আসে। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবাক হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের বাড়িতে একাই ছিলেন এক বৃদ্ধ। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকির পরেও তাঁর সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পুলিশ পৌঁছয়। ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, নিহত ওই ব্যক্তি সত্তর বছর বয়সি নেপাল দাস। তিনি আদতে হরিদেবপুরের বাসিন্দা। তবে ব্যবসার স্বার্থে পরিজনদের সঙ্গে চাঁদনি চকে থাকতেন।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে নয়া আতঙ্ক জিকা ভাইরাস, জনস্বার্থে সতর্কতা জারি রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের]
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ নিহতের ছেলে সৌরভ এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশকে তাঁরা একটি হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজের কথা উল্লেখ করেন। তাঁরা জানান, মৃত্যুর আগে নেপাল দাস তাঁর পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠান। যাতে তিনি বলেন, প্রচুর টাকা ধার হয়ে গিয়েছে। একাধিক লোন রয়েছে তাঁর। আর তা শোধ করতে গুনতে হচ্ছে ইএমআই। তবে তা দেওয়ার আর সামর্থ্য নেই তাঁর। আর্থিক সংকটের চাপমুক্ত হতে ওই বৃদ্ধ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলেই জানান নিহত নেপাল দাস ছেলে ও তাঁর স্ত্রী।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন নেপালবাবু। তবে খুন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। শুধুমাত্র আর্থিক সংকটের ফলে নেপাল আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেনই বা ওই বৃদ্ধ বিপুল টাকা ধার করেছিলেন, সে বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।