সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি বিরোধী মহাজোট কংগ্রেসকে ছাড়া সম্ভব নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেডে দেশের যেসব নেতারা এসেছিলেন, তারা সবাই কংগ্রেসকেই ক্ষমতায় দেখতে চান। সোমবার একথা বললেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র।
[সম্পত্তি হাতাতে আধারে কারসাজি, চাকর বনে গেল ছেলে]
ব্রিগেড ছাড়ার পরই রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার আবেদন জোরালো করেন তামিলনাড়ুর নেতা স্ট্যালিন। আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেছে। এদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে মমতার সভায় আসলেও আসেননি সোনিয়া ও রাহুল। আসেননি বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে আঘাত করলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি জানান, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ব্রিগেডে না এসে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী জোট অসম্ভব। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, অকংগ্রেস ও অবিজেপি সরকার। কিন্তু মমতার ব্রিগেডে মূল বিষয় ছিল কংগ্রেস। যারা ব্রিগেডে মমতার মিটিংয়ে এসেছিল, প্রত্যেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। জম্মু-কাশ্মীর, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মহারাষ্ট্র, ও অন্য রাজ্যগুলোর আঞ্চলিক দল সবাই কংগ্রেসকে সমর্থন করবে। তাই এই হিসেবে ব্রিগেডে না এসে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন রাহুল গান্ধী।”
[আপাতত বাতিল ব্রিগেড সভা, বদলে রাজ্যে মোদির ৪ জনসভা]
শনিবার ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বিজেপি বিরোধী সমাবেশে হাজির ছিলেন ২০ জন বিরোধী নেতা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। ছিলেন ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন, আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব। এই সভায় আসেনি প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও নেতৃত্ব। ব্রিগেড থেকে বিজেপিকে আগামী লোকসভায় সরিয়ে ফেলার ডাক দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা নিয়ে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এবার মমতার ব্রিগেডকে কটাক্ষ করলেন ওমপ্রকাশও।
The post ব্রিগেডে উপস্থিত নেতারা কংগ্রেসকেই সমর্থন করবে, তৃণমূলকে কটাক্ষ ওমপ্রকাশের appeared first on Sangbad Pratidin.