সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ব্যবহার করছে মোদি সরকার, এমনকী গেরুয়া শিবিরের ক্ষমতায় আসার অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠছে সিবিআই-ইডি। দেশের বিরোধী দলগুলি এমন অভিযোগ বহুবার এনেছে। সোমবার একটি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) উদ্দেশ্যে খোদ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মন্তব্য করল, “ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করবেন না”। ছত্তিশগড় সরকার (Chhattisgarh Government) শীর্ষ আদালতে অভিযোগ জানিয়েছিল, ২ হাজার কোটি টাকার মদ কেলেঙ্কারিতে জোর করে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের (Bhupesh Baghel) নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। এই মামলার শুনানিতেই ইডিকে হুঁশিয়ারি দিল আদালত।
বিচারপতি এসকে কউল এবং এ আমানুল্লাহর বেঞ্চে ছত্তিশগড় সরকার অভিযোগ করেছে, রাজ্যের একাধিক আবগারি আধিকারিক এবং তাঁদের আত্মীয়দের গ্রেপ্তারির হুমকি দিচ্ছে ইডি। তাঁরা বলেছেন, মদ কেলেঙ্কারিতে “মুখ্যমন্ত্রী জরানোর চেষ্টা হচ্ছে”। ভয়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাজ করতে চাইছেন না। ছত্তিশগড় সরকার পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বাল শুনানিতে বলেন, “ইডি উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে আবগারি আধিকারিকদের।” তিনি বলেন, “এটা দুর্ভগ্যজনক। সামনেই ছত্তিশগড়ে ভোট, সেই কারণেই এই কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: দিল্লির আফগান দূতাবাসে জোর করে ঢোকার চেষ্টা তালিবান ‘কূটনীতিকে’র, রুখে দিল কর্মীরাই!]
শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রতিক্রিয়া, “এমন আচরণ একটি সত্যি বিষয়কেও সন্দেহজনক করে তোলে”। আদালত এরপরেই ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করে, “ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করবেন না।” উল্লেখ্য, ছত্তিশগড় সরকার করেছে, রাজ্যের ৫২ জন আবগারি আধিকারিক ইডির বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। এমনকী তাঁদের আত্মীয়দের উপরেও নির্যাতন চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
[আরও পড়ুন: ৬ নয়, এবার থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি হোক ৯ মাসের, প্রস্তাব নীতি আয়োগের]
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বারবার অভিযোগ করেছেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী অন্য দলগুলিরও অভিযোগ, বিধানসভা অথবা লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎই অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। তাঁদের দাবি, গোটাটাই প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরে থাকা অভিযুক্তদের সন্দেহজনকভাবে খুঁজে পায়নি সিবিআই-ইডির মতো সংস্থাগুলি। সব মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে নতুন করে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাজের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠল।