সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণ আদায়ের নামে আর্থিক সংস্থার কর্মীদের গ্রাহককে হেনস্থার ঘটনা আকছাড় ঘটছে। অপমানে শুধু জুলাই মাসে তিন গ্রাহকের আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই বিষয়ে সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক এবং আর্থিক সংস্থাগুলিকে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর কড়া বার্তা, মানবিকতা ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে হবে ঋণ আদায়ের বিষয়টি। নচেত আরবিআইয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
সোমবার লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “কিছু ব্যাংক কতখানি নির্দয়ভাবে ঋণ আদায় করে থাকে, সেই বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি আমি। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ব্যাংককেই কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, যে ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়ায় কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। মানবিকতা এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে হবে বিষয়টিকে।”
[আরও পড়ুন: পরপর মৃত্যু, ৬টি চিতার গলা থেকে খোলা হল ‘বিতর্কিত’ রেডিও কলার]
মাঝে কৃষকদের থেকে জবরদস্তি ঋণ আদায়ের অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় মাদ্রাজ হাই কোর্টে। ওই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রাইভেট এজেন্টদের মাধ্যমে ঋণ পুনরুদ্ধারের জবরদস্তিমূলক পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাংকগুলি কখনই ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য পেশী শক্তি ব্যবহার করতে পারে না।”
[আরও পড়ুন: ৭০০ কোটি টাকা চিনা প্রতারণার শিকার ১৫ হাজার ভারতীয়! অর্থ যেত জঙ্গিদের কাছেও]
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের একটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলিকে সতর্ক করেছিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। শীর্ষ ব্যাংক বক্তব্য ছিল, যদি কোনও ব্যাংকের এজেন্টদের সম্পর্কে অভিযোগ মেলে তবে ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করতে পারে আরবিআই। যদিও এর পরেও জবরদস্তি ঋণ আদায় তথা হেনস্তার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় ব্যাংকগুলির প্রতি অর্থমন্ত্রীর বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ।