সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন পাক মন্ত্রীর মুখে রাহুল গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশংসা। এই ইস্যুতেই দুই বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে পাক যোগের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এবার সেই ঘটনায় আরও একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, 'বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এবং তদন্ত সাপেক্ষ।'
পাক মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরির তরফে ইন্ডিয়া জোটের দুই শীর্ষ নেতার প্রশংসা ও তাঁদের মোদি বিরোধিতাকে সমর্থন করে সোশাল মিডিয়া পোস্ট, জাতীয় রাজনীতিতে তৈরি করেছে বিতর্ক। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এআইএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ইস্যুতেই নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিক। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) বলেন, 'বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর এবং তদন্ত সাপেক্ষ। আমি বুঝতে পারি না এঁদের সেই সব লোকেরাই কেন পছন্দ করে যাদের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা। কেন শুধুমাত্র শত্রুদের থেকেই এঁদেরকে সমর্থনের আওয়াজ ওঠে।' একইসঙ্গে যোগ করেন, 'বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। আমি যে দায়িত্বে রয়েছি সেখানে দাঁড়িয়ে আমার মনে না এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিৎ আমার। তবে আপনার উদ্বেগ আমি বুঝতে পারি।' একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভারতের গণতন্ত্র অনেক বেশি পরিণত ও শক্তিশালী। আমি মনে করি না, সেখানে বাইরে থেকে কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। দেশের মানুষ ও বোকা নন তাঁরা সবটা বোঝেন। তাঁরা বহিরাগত দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার নন।'
[আরও পড়ুন: ‘বিপদের আশঙ্কা’, বৈভবের জামিনের বিরোধিতায় আদালতে ভেঙে পড়লেন স্বাতী]
উল্লেখ্য, পাক মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি চলতি মে মাসেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসামূলক পোস্ট করেছিলেন। তাতে বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে পাকিস্তানের সমর্থক বলে তুমুল সমালোচনাও করা হয়। এর ঘটনার পর কেজরির ভোট দেওয়ার ছবি পোস্ট করে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি লিখেছিলেন, ‘আমি আশা করছি যে শান্তি ও সদ্ভাবের মাধ্যমে ঘৃণা ও সন্ত্রাসবাদী শক্তির পরাজয় হবে।' শেষদফা ভোটের আগে এই ঘটনায় সরগরম হয় জাতীয় রাজনীতি। শীর্ষ বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠে পাক যোগের অভিযোগ। যদিও পাক মন্ত্রীর মন্তব্যের পালটা নিজের চরকায় তেল দেওয়ার বার্তা দেন কেজরিওয়াল।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে সরকারি চাকরি পাবে না জঙ্গি পরিবারের সদস্য, পাথর ছুড়লেও একই শাস্তি, হুঙ্কার শাহের]
পালটা জবাব দিয়ে কেজরি লেখেন, ‘চৌধুরি সাহেব, আমি এবং আমার দেশের মানুষ নিজেদের বিষয়, সামলে নেওয়ার জন্য পুরোপুরিভাবে সক্ষম। তার জন্য আপনার টুইটের প্রয়োজন নেই। বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। আপনি নিজের দেশ সামলান। ভারতে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সন্ত্রাসবাদের সব থেকে বড় প্রযোজকের হস্তক্ষেপ ভারত বরদাস্ত করবে না।’ কিন্তু তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। সরাসরি রাহুল ও কেজরির বিরুদ্ধে পাক যোগের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এবার সেই ইস্যুতেই তদন্তের দাবি তুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।