অর্ণব আইচ: টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা খুনে (Manish Shukla murder case) অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে তল্লাশি চালিয়ে নাসির আলি মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নাসির আলি অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল। দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল। অবশেষে ধরা পড়ল পুলিশের জালে।
মাস দুই আগে এক রবিবার ভরসন্ধেবেলা টিটাগড়ে প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিলেন তরুণ নেতা তথা টিটাগড় পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। তদন্তে নেমে বহু রাঘব বোয়ালের জড়িত থাকার কথা জানতে পারেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সেইমতো তাঁদের গ্রেপ্তারির প্রক্রিয়া শুরু হয়। জানা যায়, ভিনরাজ্যের সুপারি কিলারদের দিয়ে মনীশকে খুন করানোর চক্রান্ত হয় এবং সেইমতোই অপারেশন হয়। এই ভিনরাজ্যের যোগসূত্র খুঁজতে বিহারের যান তদন্তকারীদের একটি দল। পাটনার জেলে বন্দি এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী মণীশ হত্যার ব্লু প্রিন্ট ছকে দিয়েছিল বলে তাঁদের কাছে খবর ছিল। তাই তাকে জেরা করতেই তাঁদের পাটনা যাওয়া। কিন্তু সেসময় বিহারে নির্বাচন থাকায়, নির্বাচনী বিধি মেনে জেলে দেখা করতে পারেননি সিআইডির গোয়েন্দারা। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: পাখির চোখ বাংলা, নাড্ডা আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ]
তবে তার মধ্যেই খুনে অভিযুক্ত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা। নাসির আলি মণ্ডলও ছিল তাঁদের স্ক্যানারে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে তল্লাশি চালায় টিটাগড় থানার পুলিশ। জালে আসে নাসির আলি মণ্ডল। জানি গিয়েছে, সে আসলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা। হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা দিয়েছিল সে। আজ তাকে আদালতে পেশ করা হবে। সিআইডি সূত্রে খবর, এ নিয়ে মণীশ শুক্লা খুনে মোট ১০ জন গ্রেপ্তার হল। রাজ্যে নির্বাচনের আগে এই হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে ফেলতে চায় সিআইডি।