নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বোমা ফেটে মৃত্যু হল এক বালকের। শুক্রবার বীরভূমের মাড়গ্রামে বিস্ফোরণে জখম হয়েছিল দুই বালক। ঝলসে গিয়েছিল তারা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার স্বার্থে তাদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার ভোরে হাসপাতালে এক বালক শোহন শেখের মৃত্যু হয়। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বিকেলের দিকে বালকের দেহ গ্রামে ফেরানো হবে।
গত শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তেজনা ছড়ায় মাড়গ্রামে। বাড়িতে মজুত হাত বোমা ফেটে মাড়গ্রামে জখম হয় আট বছরের দুই বালক। মাড়গ্রামের ঘটনায় বাড়ির মালিক জামিরুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানিয়েছিলেন, জামিরুল তার বাড়িতে বোমা মজুতের কথা স্বীকার করেছে। সন্তোষপুরে আগুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে।
[আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের উদ্বোধনে মোদি-মমতা, ৩৬ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হাওড়ার তিন প্ল্যাটফর্ম]
মাড়গ্রাম থানার একডালা গ্রামে জামিরুল হকের বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় দুই বালক। ঘটনাটি ঘটে দুপুর একটা নাগাদ। জখম আট বছরের দুই বালক রোহন ও শোহন শেখ বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে যায়। তাদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ থেকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে তাদের কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। একডালা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পেশায় কৃষক জামিরুলের কাঁচা মাটির ঘরের পাশেই পাকা বাড়ি। গ্রামবাসীরা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে তিনতলার কাঁচা মাটির বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। সেখানেই দুপুরে দুই বালক খেলা করতে গিয়ে বোমা ফাটে। জখম দুই বালক সম্পর্কে জামিরুলের মেয়ের ছেলে।
জামিরুল জানান, তাঁর নাতিরা দু’তিনটি চকলেট বোমা একসঙ্গে করে ফাটাচ্ছিল। তাতেই এই বিপত্তি। তিনি যুক্তি দেন জোরাল বিস্ফোরণ হলে ঘরের চালা, দরজা উড়ে যেত। তা হয়নি। শোহনের মা জামিনা খাতুন জানান, ‘‘চকলেট বোমা নিয়ে আমি খেলতে নিষেধ করেছিলাম। কিছুদিন আগে ভাইয়ের বিয়ে গিয়েছে, সেই বোমা মজুত রাখা ছিল।’’ নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, ‘‘মাটির ঘরের দোতলায় তিনটি হাত বোমা ছিল। স্বীকার করেছে ধৃত জামিরুল।’’ গ্রামসূত্রে জানা গিয়েছে আগে সিপিএম করলেও বর্তমানে জামিরুল তৃণমূলের কর্মী হিসাবে কাজ করত। সে কথা স্বীকার করেন গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আকাল মাল।