সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউটাউনে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় চিহ্নিত করা হল ‘ঘাতক’ গাড়িকে। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে একজনকে। তবে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত চলবে বিক্ষোভ।
বছরের প্রথম দিন, রবিবার বিকেলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গেট থেকে বেরতেই একটি বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কা মারে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Alia University) ভূগোলের স্নাতক স্তরের পড়ুয়া শাকিল আহমেদকে। তাঁকে ধাক্কা মেরেই সেখান থেকে চম্পট দেয় ঘাতক গাড়িটি। প্রায় মিনিট ১৫ পর শাকিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পরই প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। অবিলম্বে অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তারির দাবিতে রাস্তা আটকে নিউটাউনের তেমাথার মোড়ে চলছে বিক্ষোভ।
[আরও পড়ুন: ‘ধানে পোকা জন্মালে সমূলে বিনাশ করতে হবে’, দলকে বার্তা মমতার, সমালোচনা শুরু বিরোধীদের]
সোমবার ডিসি নিউটাউন জানান, কসবার সার্ভিস সেন্টার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ঘাতক গাড়িটিকে। সিসিটিভি দেখেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয় গাড়িটিকে। সেটি একটি বেসরকারি সংস্থার গাড়ি বলে খবর। ইতিমধ্যেই ওই সার্ভিস সেন্টারে পৌঁছেছে ফরেনসিক টিম। পরীক্ষা করা হচ্ছে গাড়িটিকে। একইসঙ্গে খোঁজ চলছে মূল অভিযুক্তের।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিসি নিউটাউন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। সেই অভিযুক্তই গাড়ির চালক কি না, তা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা যাবে না। মূল অভিযুক্তকে আজ রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বস্তও করেন তিনি। কিন্তু বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের দাবি, এখনই অভিযুক্তর নাম প্রকাশ্যে আনতে হবে। তাঁদের থেকে কোনও তথ্য লুকানো যাবে না। বিস্তারিত তথ্য না দেওয়া হলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ডিসি নিউটাউন বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার আরজি জানালেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।