রমনী বিশ্বাস, তেহট্ট: নতুন বছরের গোড়াতেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তেহট্ট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পা়ঞ্জা লড়ছেন ২৮ যাত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ কর্মীরা মিলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকার্য।
মঙ্গলবার বিকেলে কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর যাচ্ছিল বাসটি। তেহট্ট থানার তারনী এলাকায় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রী সমেত বাসটি তিনবার পালটি খেয়ে রাস্তার ধারের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। বাসটি উলটো হয়ে বেশকিছুক্ষণ নয়ানজুলিতে পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় বাসটি সোজা হয়। খবর যায় পুলিশের কাছে। ছুটে আসে তেহট্ট থানার পুলিশ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকার্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে এক যাত্রীর। গুরুতর জখম ২৮ জন তেহট্ট মহকুমার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বাকি যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষি ছিল এই জেলা। কুয়াশা ও বেলাগাম গতির বলি হয়েছিলেন অন্তত ১৭। জানা যায়, নবদ্বীপের শ্মশানে সৎকার করতে আসছিলেন ২৫ জন। মালবাহী গাড়িতে ছিলেন তাঁরা। মহিলা যাত্রীও ছিলেন গাড়িটিতে। ছিল এক শিশুও। পুরুষ যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রাত পৌনে দুটো নাগাদ দ্রুত গতিতে আসছিল গাড়িটি। রাস্তায় কুয়াশা থাকায় চালক দেখতে পাননি। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে।