সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুর্ণিঝড় যশ বা ইয়াসে (Cyclone Yaas) বিধ্বস্ত সুন্দরবন। প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানবতার টানে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই দলবল নিয়ে সুন্দরবনের পথে রওনা দিয়েছিলেন লোকনাথ দাস। কিন্তু ফেরা হল না তাঁর। পথ দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন উল্টোডাঙার বাসিন্দা।
গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলে ডুবেছে ঘরবাড়ি। ভেসে গিয়েছে খাদ্যসামগ্রী। খাবারের অভাবে অসহায় হয়ে পড়েছেন সেখানকার গ্রামের মানুষজন। পীড়িত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন লোকনাথরা। উল্টোডাঙার একটি ক্লাবের সদস্য হিসেবে দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেন। সেই মতোই ক্লাবের অনেকে মিলে রবিবার সকালে রওনা দেন সুন্দরবনের উদ্দেশে। মোট তিনটি গাড়িতে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ঘটকপুকুরে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, গাড়ি উলটে যাওয়ায় প্রাণ হারান লোকনাথ। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয়ের খুব কাছ থেকে উদ্ধার ৫১টি তাজা বোমা, অধরা অভিযুক্ত]
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে লোকনাথের পরিবারে। তাঁর বাড়ির লোকেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি মারা গিয়েছেন লোকনাথের বাবা। দিন দুয়েক আগেই তাঁর পারলৌকিক কাজ করেছেন লোকনাথ। তারপরই দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে সুন্দরবন (Sundarbans) যাচ্ছিলেন। কিন্তু সমাজসেবা করতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর।
“কখনও কারও অপকার করেনি লোকনাথ। যে যখন ডেকেছে, সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছে। এবারও সুন্দরবনে ত্রাণ দিতেই যাচ্ছিল। কিন্তু কী হয়ে গেল! এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।” কথাগুলো বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের এক সদস্যা। কীভাবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।