shono
Advertisement

বিশ্বব্যাপী আর্থিক মদতের এক-চতুর্থাংশ বাংলাদেশকে দেয় ভারত

জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা।
Posted: 10:24 AM Dec 31, 2022Updated: 10:24 AM Dec 31, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। ফের এই বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি জানান, গোটা বিশ্বে ভারতের যে উন্নয়ন সহায়তা, তার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের নানা প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে।

Advertisement

খুলনার ‘মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন’ প্রকল্পের জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি (পিএমসি) পরিষেবা সমূহের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন প্রণয় ভার্মা। ওই চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বলা হয়, প্রকল্পটি ভারত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের প্রতি সম্প্রসারিত ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লাইন অফ অফ ক্রেডিটের অধীনে করা হচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনার আরও জানান, আর্থিক মূল্য ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। বিশ্বব্যাপী ভারতের উন্নয়ন সহায়তার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের বৈচিত্র্যময় নানা প্রকল্পে সম্প্রসারিত হয়েছে। এই দৃঢ় উন্নয়ন সহযোগিতা বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

[আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা, নিজেদের বন্দরে রুশ জাহাজ ভিড়তে দিল না বাংলাদেশ]

এদিন ভার্মা জোর দিয়ে বলেন, মোংলা বন্দর প্রকল্পের মতো বিভিন্ন সংযোগ প্রকল্প সম্পন্ন হলে তা শুধু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেই নয়, সমগ্র উপ-অঞ্চলের অর্থনীতিতেও একটি রূপান্তরমূলক প্রভাব ফেলবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইজিআইএস ইন্ডিয়া কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অফ ক্রেডিটের অধীনে প্রকল্পটির মোট খরচ ৫৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে পিএমসি চুক্তিটি ইজিআইএস ইন্ডিয়া কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেডকে দেওয়া হয়েছে ৯ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে।

উল্লেখ্য, আমেরিকার মতো মহাশক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। আওয়ামি লিগ নেতৃবৃন্দ তা ভুলে যায়নি। তবে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় বসে চিন ও পাকিস্তানপন্থীরা। এরপরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে এসে দাঁড়ায়। চিন-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সামরিক জুন্টা সরকারের আশ্রয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে গড়ে ওঠে একাধিক ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির। তারা ভারতে ঢুকে হামলা চালাতে থাকে ভারতীয় সেনার ওপর। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সীমান্তে জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ ভেঙ্গে দিয়ে দিল্লির আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। এরপরেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে মাত্রা পায়।

[আরও পড়ুন: আন্দামান সাগরে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবি, ডুবে মৃত্যু অন্তত ১৮০ রোহিঙ্গার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement