সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিলিগুড়ির সেবক রোডের কাছে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় এবার কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হল এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আমন ঘোষ ওরফে মনোজ কেজিএফ গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য। অভিযোগ, রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা-সহ একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে মনোজের সরাসরি যোগ রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ফেরার এই হামলার মূলচক্রী প্রদীপ রায়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার সেবক রোডের উপর অবস্থিত ‘সেবক হাউসে’ প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী ঢুকে রামকৃষ্ণ মিশনের বেশকিছু আশ্রমিক ও নিরাপত্তারক্ষীদের বাইরে বার করে দেয়। প্রত্যেকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকাতে একে একে আশ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রদীপ রায় নামের এক দুষ্কৃতী এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল তা জানিয়ে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। তার পর থেকে হামলাকারীদের ধরতে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েই গ্রেপ্তার করা হয় মনোজকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে। যদিও, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
[আরও পড়ুন: ব়্যাগিংয়ে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু, ৩৮ জনের শাস্তির সিদ্ধান্তেই সিলমোহর]
এদিকে, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সন্ত তরজা তুঙ্গে। এই প্রেক্ষাপটে ‘সেবক হাউসে’ হামলার নেপথ্যে শাসকদল আশ্রিত জমি মাফিয়ারা বলে দাবি বিরোধীদের। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি। কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামের প্রচারসভা থেকে ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার এক ইমামের নাম করে সমালোচনা করেছেন। এই প্রেক্ষাপটকে মেরুকরণের কৌশল বলে তোপ দেগেছেন অধীর চৌধুরী। এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।