বাবুল হক, মালদহ: মালদহে (Maldah) অজানা জ্বরের বলি আরও ১ খুদে। রবিবারই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল বৈষ্ণবনগরের ৩৬ দিনের ওই শিশুকে। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হল না। প্রাণ গেল একরত্তির। এই নিয়ে মালদহ মেডিক্যালে অজানা জ্বরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৮।
বেশ কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri), আলিপুরদুয়ার, মালদহ থেকে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, দুর্গাপুরে থাবা বসিয়েছে জ্বর। অসুস্থ একের পর এক শিশু। সকলেরই উপসর্গ প্রায় এক। জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছে প্রত্যেকেই। বাড়ছে প্রাণহানিও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বর্তমানে মালদহ মেডিক্যালে ভরতি শিশুর সংখ্যা ৪৬ জন। আসানসোলের ১৭ জন খুদে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জলপাইগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। সোমবার নতুন করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ২১ জন শিশুকে।
[আরও পড়ুন: করোনা কেড়েছে দুই উদ্যোক্তার প্রাণ, বন্ধের মুখে রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ‘বড়বাসা’র দুর্গাপুজো]
এদিকে জলপাইগুড়িতে শিশুদের জ্বরের আড়ালে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াল করোনা (Corona Virus)। ইতিমধ্যেই জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুর শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। কোভিড আক্রান্ত শিশুর মা-ও। দু’জনকেই আলাদা করে কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে শিশু বিভাগ ঘুরে দেখেন হাসপাতাল সুপার। ভরতি রয়েছে এরকম আরও কোনও শিশুর শরীরে করোনার জীবাণু রয়েছে কি না জানতে অ্যান্টিজেন টেস্ট ও আরটি পিসিআর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের আউটডোরে জ্বরে আক্রান্ত অসুস্থ শিশুদের ভিড়। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। বর্তমান জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ১০২ জন শিশু ভরতি রয়েছে। সোমবার ভরতি হয়েছেন আরও ২১ জন শিশু।