সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: অজানা জ্বরের (Fever) প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। জ্বরের কবলে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শুধু জলপাইগুড়িতে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২। এখনও জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভরতি ২০০র কাছাকাছি শিশু। প্রায় একইরকম উপসর্গ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা হাসপাতালে ভরতি অন্তত ৭০ জন শিশু। তাদের প্রত্যেকেরই জ্বর। তবে তার কারণ অজানা। ফলে সবমিলিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে মারা যাওয়া শিশুর বয়স মাত্র ৭ মাস। সে ময়নাগুড়ির বাসিন্দা। কয়েকদিন ধরে জ্বর না কমায় এদিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেন অভিভাবকরা। তবে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরা আগে সোমবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৬ বছরের কাবেরীকে। কোচবিহারের (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা সে। প্রবল জ্বর ছিল তার। তাকে ভরতির পরই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হল ওই শিশুর। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
[আরও পডুন: COVID-19: কলকাতা ও উঃ ২৪ পরগনায় ফের দৈনিক সংক্রমণ শতাধিক, রাজ্যে কমল অ্যাকটিভ কেস]
জেলা সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি হাসপাতালে সবমিলিয়ে অন্তত ২০০ জন শিশু অজানা জ্বর নিয়ে ভরতি। জ্বরের কারণ জানতে শিশুদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার (Kolkata)ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এছাড়া পুণের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতেও পাঠানো হয়েছে। তবে পরীক্ষার ফল এখনও হাতে আসেনি। তা পেলে তবেই জ্বরের কারণ কিংবা কোথা থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট হতে পারে।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহারের শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে এই জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি আরও অনেকে। তবে কী কারণে এই জ্বর, তা বুঝতে পারছেন না চিকিৎসকরা। শিশুদের জ্বর কমানো-সহ একাধিক অসুস্থতারও চিকিৎসা চলছে। তাদেরও রক্তের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পডুন: শত্রুর উপর অগ্নিবৃষ্টি করতে তৈরি এম ৭৭৭, বাংলার মাটিতে শক্তিপ্রদর্শন অত্যাধুনিক কামানের]
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি কলকাতাতেও ধীরে ধীরে এই সংক্রমণ হচ্ছে। সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন শিশু ভরতি। এদের মধ্যে ৪ জনের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাদের আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে বলে খবর।