সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে বিলুপ্ত হওয়া চিতাকে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের উদ্যোগ বুঝি সাফল্যের মুখ দেখতে চলেছে। নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা (Cheetah) ভারতে আসার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই হাওয়ায় ভাসছে সুখবর। শোনা যাচ্ছে, আশা নামের একটি চিতা ইতিমধ্যে গর্ভবতী (Pregnant) হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান (National Park) অর্থাৎ যেখানে চিতাদের বাসস্থান গড়ে তোলা হয়েছে, সেই পার্কের এ সম্পর্কে কানাঘুষো চলছে। যদিও জাতীয় উদ্যানের কর্মকর্তারা এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, চিতাটির কোনও শারীরিক পরীক্ষা হয়নি, ফলে এই খবর নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) জন্মদিনে ‘প্রজেক্ট চিতা’র সূচনা হয়। নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয় ভারতে। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে তাদের ছেড়েছেন মোদি নিজেই। উদ্দেশ্য একটাই, বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটির পুনরাবির্ভাব ঘটানো। তিনটি পুরুষ চিতা ও পাঁচটি স্ত্রী চিতাকে কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছে। তাদের আগমনকে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে আরজি জানিয়েছিলেন, এই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের সময় দেওয়া হোক। বাড়তি যত্ন ও সঠিক দেখভালের ব্যবস্থা করার জন্য জাতীয় উদ্যানের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কারণ, দেশকে ফের চিতাদের বাসযোগ্য করে তোলা চ্যালেঞ্জের।
[আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে জোড়া হ্যাটট্রিক! ফের স্বচ্ছতায় সেরা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর]
তবে এসবের মধ্যেই সুখবর শোনালেন চিতা সংরক্ষণ প্রকল্পের কর্তা ড. লরি মার্কার। তিনি জানিয়েছেন, ”আশা নামের ওই চিতা গর্ভবতী হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। নিশ্চিত হয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। যদি সত্যিই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে থাকে, তাহলে সে প্রথম সন্তান উপহার দেবে আমাদের। সেক্ষেত্রে ওর অত্যন্ত নির্জনতা প্রয়োজন। ওর এনক্লোজারের মধ্যেই আরেকটা ছাউনি করে দিতে হবে। আশার আগে সন্তান ছিল কি না, তাও জানতে হবে। আগামী কয়েকদিনেই বোঝা যাবে, কী হতে চলেছে।”
[আরও পড়ুন: পুজোয় তীব্র বিশৃঙ্খলা, শর্ট সার্কিটের জেরে কল্যাণীর ‘টুইন টাওয়ার’ মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা]
যদিও এই খবর উড়িয়ে দিয়েছেন কুনো জাতীয় উদ্যানের এক কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার বর্মা জানিয়েছেন, ”এটা নিতান্তই গুজব। ওই চিতার কোনও শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। নামিবিয়া থেকেও আমরা কোনও রিপোর্ট পাইনি। এই খবর কোথা থেকে ছড়াল, বুঝতে পারছি না।”