নব্যেন্দু হাজরা: মেট্রোর গেট থেকে বের হওয়ার সময় টোকেন নিয়ে সমস্যা। বিপদ বুঝে প্ল্যাটফর্ম থেকে মেট্রোর লাইনে নেমে সোজা ছুট লাগালেন এক ব্যক্তি। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এমজি রোড এবং গিরিশ পার্ক স্টেশনের মধ্যে। কবি সুভাষ থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করলেও বাকি অংশের পরিষেবা বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রইল। দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি দমদম থেকে মেট্রোতে উঠেছিলেন। ঘটনার সূত্রপাত রাত ৭টা ৪১ নাগাদ। ওই ব্যক্তি কবি সুভাষগামী ট্রেনে চড়ে এম জি রোড স্টেশনে নামেন। ট্রেন থেকে নেমে তিনি টোকেন ফেলে গেট দিয়ে বেরোতে যান। কিন্তু গেট না খোলায় শুরু হয় মেট্রোর কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি। জানা যায়, কম টাকার টোকেন কেটে বেশি দূরত্বে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে আরপিএফের কাছে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি বাধা দেন। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তি আর বেরোননি। পিছন দিকে ছুট লাগান। প্ল্যাটফর্ম দিয়ে সরাসরি লাইনে ঝাঁপ দেন। তারপর এম জি রোড থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে ছুটতে থাকেন। পিছন পিছন ছুটতে থাকেন আরপিএফ কর্মীও। ইতিমধ্যেই কন্ট্রোলরুম থেকে সিসিটিভিতে গোটা ঘটনা দেখে তৃতীয় লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো চলাচলও।
[আরও পড়ুন: মধ্যরাতে পানশালায় বচসা, শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে]
মিনিট দশেক ছুটে ওই ব্যক্তি গিরিশ পার্ক স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে উঠে সেখান দিয়ে বেরিয়ে যান। তাঁকে আটক করা যায়নি। মেট্রো সূত্রের খবর, কম দূরত্বের টোকেন কেটে বেশি পথ যাওয়ার কারণেই ওই ব্যক্তি বেরোতে পারেননি। জরিমানা দেওয়ার ভয়েই তিনি লাইন দিয়ে নেমে ছুটতে থাকেন। কিন্তু গিরিশ পার্ক দিয়ে উঠে তিনি কীভাবে বেরোলেন তা সঠিকভাবে কেউই বলতে পারছেন না। এই ঘটনায় মেট্রোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। একাংশের মেট্রো কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে ভাল করে সুড়ঙ্গ পরীক্ষা করা হয়। তারপর মেট্রো চলাচল শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকটি মেট্রোর যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। মেট্রোর আধিকারিকরা গোটা ঘটনায় বেশ বিভ্রান্ত।
The post স্টেশন থেকে বেরতে না পেরে সুড়ঙ্গে দৌড়, যাত্রীর কাণ্ডে বিপর্যস্ত মেট্রো পরিষেবা appeared first on Sangbad Pratidin.