বিক্রম রায়, কোচবিহার: স্কুলে প্রচুর ছাত্রছাত্রী। কিন্তু শিক্ষক সংখ্যা মাত্র ১! ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kabach) কর্মসূচিতে গিয়ে সেই স্কুলের দশা দেখে স্তম্ভিত কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। নিছক এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েই ক্ষান্ত হলেন না তিনি। বরং নিজেই স্কুলে গিয়ে ক্লাস নিলেন। চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ডে পড়ালেন ছোট ছোট পড়ুয়াদের। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, স্কুলের এই সমস্যার কথা তিনি জানলেন এবং তা যাতে দ্রুত সমাধান হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাবেন। বিধায়কের এই ভূমিকায় খুশি কচিকাঁচা থেকে শুরু করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সকলে।
রয়েছে পর্যাপ্ত ছাত্র। কিন্তু নেই শিক্ষক (Teachers)ও ক্লাসরুম। স্কুলের এমন ভয়ানক অবস্থার ছবি চোখে পড়ল সিতাই (Sitai) বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার চোখে। শুক্রবার বিধায়ক বসুনিয়া ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরিদর্শনে যান ধুমের খাতা জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর সেখানে গিয়েই তাঁর চোখে পড়ে স্কুলের এই বেহাল অবস্থা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রীরা সকলেই জানান, তাদের স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে মাত্র একজন শিক্ষক। তাই বাধ্য হয়ে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট-সহ গ্রুপ ডি কর্মী – কাউকে ক্লাস নিতে হয়। আর এর ফলে প্রভাব পড়ছে বাচ্চাদের শিক্ষার মানে।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর ডেথ সার্টিফিকেট তুলতে গিয়ে ‘মৃত’ স্বামী! কাঠগড়ায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল]
একইসঙ্গে স্কুলে রয়েছে শ্রেণিকক্ষের (Classroom) অভাবও। তাই বাধ্য হয়ে একটি শ্রেণিকক্ষেই দুই ক্লাসের বাচ্চাদেরকে একসঙ্গে নিয়ে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। এসব দেখেশুনে তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া (Jagadish Barma Basunia)নিজেই ক্লাস নেন। ছোটদের একসঙ্গে নিয়ে যত্ন করে পড়ান। যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক জানান, স্কুলের শিক্ষক কম রয়েছে এবং তিনি এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন। দ্রুত যাতে সমাধান মেলে, তার জন্য ব্যবস্থা নেবেন।
দেখুন ভিডিও: